পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দৰ্পণ ! ఆసి র্তাহাকে অবশ্যই আহার করাইব । আপনি বাড়ীযান, আমি প্রত্যহ পত্র প্রেরণ করিব । নবীন । বিধাতঃ ! পিতাকে কি কষ্টই দিতেছ। বিন্দু তোমাকে রাত্র দিন জেলে থাকিতে দেয় তাহা হইলেই আমি নিশ্চিন্ত হইয়া বাড়ী যাইতে পারি। সাধু। আমি চুরি করি, তাপনার আমাকে চোর বল্যে ধরে দেন, আমি এক ব্লার করিব, তা হইলেই আমাকে জেলে দেবে, অামি সেখানে কর্তা মহাশয়ের চাকর হয়ে থাকিব । নবীন। সাধু! তুমি এমনি সাধুই বট । তাহ ! ক্ষেত্রমণির সাংঘাতিক পীড়ার সমাচারে তুমি যে ব্যাকুল, তোমাকে যত শীঘ্র বাড়ী লইয়া যাইতে পারি ততই ভাল । সাধু । ( দীর্ঘ নিশ্বাস) বড়বাবু! মাকে গিয়ে কি দেখিতে পাব ? অামার যে আর নাই ! বিন্দু। তোমাকে যে আরোক দিয়াছি উহা খাওয়াইলে অবশ্যই নির্বব্যাধি হইবে, ডাক্তার বাবু আদ্যোপান্ত শ্রবণ করে ঐ ঔষধ দিয়াছেন। ( ডেপুটি ইনস্পেকটারের প্রবেশ । ) ডেপু ! বিন্দু বাবু! আপনার পিতার খালাসের জন্য কমিসনর সাহেব বিশেষ করিয়া লিখিয়াছেন । বিন্দু। লেফটেনাণ্ট গবর্ণর নিষ্কৃতি দিবেন সন্দেহ নাই । নবীন। নিস্কৃতির সমাচার কত দিনে আসিতে পারে ? বিন্দু। পোনের দিবসের অধিক হইবে না । ডেপু । অমর নগরের আসিস্টাণ্ট মাজিষ্ট্রেট এক জন মোক্তারকে এই আইনে ৬ মাস ফাটক দিয়াছিল তাহার ১৬ দিন জেলে থাকিতে হয় ।