বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অঙ্ক।
১২৫

মস্তকে ধারণ পূর্ব্বক আমি হবিষ্য করিব না, উপবাসী থাকিব”। তাহাতে জননী নবীনের মুখ চুন্বন করিয়া কহিলেন “বাবা আমি রাজমহিষী ছিলেম, রাজমাতা হলেম, আমার মনে কিছু খেদ থাকিত না, যদি মরণ কালে তাঁর চরণ একবার মন্তকে ধারণ করিতে পারিতাম; এমন পুণ্যাত্মার অপমৃত্যু হইল, এই কারণে আমি উপবাস করিতেছি। দুঃখিনীর ধন তোমরা, তোমার এবং বিন্দুমাধবের যুখ চেয়ে আমি অদ্য পুরোহিত ঠাকুরের প্রসাদ গ্রহণ করিব, তুমি আমার সম্মুখে চক্ষের জল ফেল না” বলিয়া নবীনকে পঞ্চম বর্ষের শিশুর ন্যায় ক্রোড়ে ধারণ করিলেন!

(নেপথ্যে বিলাপ সূচক ধ্বনি)

আসিতেছেন।

(সাবিত্রী, সৈরিন্ধ্রী, সরলতা, আদুরী, রেবতী, নবীনের খুড়ী এবং অন্যান্য প্রতিবাসিনীর প্রবেশ)

ভয় নাই, জীবিত আছেন—

 সাবিত্রী। (নবীনের মৃতবৎ শরীর দর্শন করিয়া) নবীনমাধব! বাবা আমার, বাবা আমার, বাবা আমার, কোথায়, কোথায়, কোথায়, উহুহু।—(মূর্চ্ছিত হইয়া পতন)