পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৬
নীল দর্পণ নাটক৷

 সৈরি। (রোদন করিতে করিতে)ছোট বউ! তুমি ঠাকুরুণকে ধর, আমি প্রাণকান্তকে একবার প্রাণ ভরে দর্শন করি। (নবীনমাধবের সুখের নিকট উপবিষ্টা)

 পুরো। (সৈরিন্ধ্রীর প্রতি) মা! তুমি পতিব্রতা সাধ্যসতী, তোমার শরীর সুলক্ষণে মণ্ডিত, পতিরতা সুলক্ষণা ভার্য্য়ার ভাগ্যে সত পতিও জীবিত হয়; চক্ষু নাঁড়িতেছেন, নির্ভয়ে সেবা কর। সাধু! কত্রী ঠাকুরাণীর জ্ঞান সঞ্চার হওয় পর্য্যন্ত তুমি এখানে থাক।

(প্রস্থান।)

 সাধু। মা ঠাকুরুণের নাকে হাত দেয়া দেখ দেখি, মৃত শরীর অপেক্ষাও শরীর স্থির দেখিতেছি।

 সর। (নাসিকায় হস্ত দিয়া রেবতীর প্রতি মৃদুস্বরে) নিশ্বাস বেস বহিতেছে, কিন্তু মাথা দিয়ে এমন আগুন বাহির হতেছে যে আমার গলা পুড়ে যাচ্যে।

 সাধু। গোমস্তা মহাশয় কবিরাজ আন্তে গিয়ে সাহেবদের হাতেপড় লেন নাকি? আমি কবিরাজের বাসায় যাই।

(প্রস্থান)

 সৈরি। আহা! আহা! প্রাণনাথ! যে জননীর