অনাহারে এত খেদ করিতেছিলে, যে জননীর ক্ষীণতা দেখিয়া রাত্রি দিন পদ সেবায় নিযুক্ত ছিলে, যে জননী কয়েক দিবস তোমাকে ক্রোড়ে না করিয়া নিদ্রা যাইতে পারিতেন না; সেই জননী তোমার নিকটে মূর্চ্ছিত হইয়া পতিত আছেন, এক বার দেখিলে না! (সাবিত্রীকে অবলোকন করিয়া) আহা! হা! বৎসহারা হাম্মারবে ভ্রমণকারিণী গাভী সর্পাঘাতে পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হইয়া প্রান্তরে যেরূপ পতিত হইয়া ধাকে, জীবনাধার পুত্রশোকে জননী সেই রূপ ধরাশায়িনী হইয়া আছেন—প্রাণনাথ! একবার নয়ন মেলে দেখ, একবার দাসীরে অমৃত বচন দাসী বলে ডেকে কর্ণকুহর পরিতৃপ্ত কর—মধ্যাহৃসময় আমার সুখ সূর্য্য অস্তগত হইল—আমার বিপিনের উপায় কি হইবে!(রোদন করিতে করিতে নবীনমাধবের বক্ষের উপর পতন)
সর। ও গো তোমরা দিদিকে কোলে করে ধর।
সৈরি। (গাত্রোত্থান করিয়া) আমি অতি শিশুকালে পিতৃহীন হয়েছিলাম, আহা! এই কালনীলের জন্যেই পিতাকে কুটিতে ধরে নিয়ে যায়,