পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৮
নীল দর্পণ নীটক।

পিতা আর ফিরিলেন না। নীলকুটি তাঁর যমালয় হইল। কাঙ্গালিনী জননী আমার, আমায় নিয়ে মামার বাড়ী যান, পতিশোকে সেই খানে তাঁর মৃত্যু হয়, মামীরা আমাকে মানুষ করেন, আমি মালিনীর হস্ত হইতে হঠাৎ পতিত পু্পের ন্যায় পথে পতিত হইয়া ছিলাম, প্রাণনাথ আমাকে আদর করে তুলে নিয়ে গৌরব বাড়াইয়াছিলেন; আমি জনক জননীর শোক ভুলে গিয়েছিলাম, প্রাণকান্তের জীবনে পিতা মাতা আমার পুনর্জ্জীবিত হইয়াছিলেন, (দীর্ঘনিশ্বাস) আমার সকল শোক নূতন হইতেছে, আহা! সর্ববাচ্ছাদক স্বামীহীন হইলে আমি আবার পিতা মাতা বিহীন পথের কাঙ্গালিনী হইব।

(ভূতলে পতন)

 খুড়ী। (হস্ত ধারণ পূর্বক উত্তোলন করিয়া) ভয় কি? উতলা হও কেন? মা! বিন্দুমাধবকে ডাক্তার আন্তে লিখে দিয়াছে, ডাক্তার আইলেই ভাল হবেন।

 সৈরি। সেজো ঠাকুরুণ! আমি বালিকা-কালে সেঁজোতির ব্রত করিয়াছিলীম, আলপানায় হস্ত রাখিয়া বলেছিলাম যেন রামের মত পতি পাই, কৌশল্যার মত শাশুড়ী পাই, দশরথের মত শ্বশুর