পাই, লক্ষণের মত দেবর পাই; সেজো ঠাকুরুণ! বিধাতা আমাকে সকলি আশার অধিক দিয়াছিলেন; আমার তেজঃপুঞ্জ প্রজা-পালক রঘুনাথ স্বামী; অবিরল অমৃতৃ-মুখী বধূপ্রাণা কৌশল্যা শাশুড়ী; স্নেহপূর্ণলৌচন প্রফুল্লবদন বধূমাতা বধূমতা বলেই চরিতার্থ, দশ দিক্ আল করা শ্বশুর, শারদ কৌমুদী বিনিন্দিত বিমল বিন্দুমাধব আমার সীতা দেবীর লক্ষণদেবর অপেক্ষাও প্রিয়তর। মা গো! সকলি মিলেছে, কেবল একটি ঘটনার অমিল দেখিতেছি—আমি এখনও জীবিত আছি—রাম বনে গমন করিতেছেন, সীতার সহগমনের কোন উদ্যোগ দেখিতেছি না। আহা! আহা! পিতার অনাহারে মরণ শ্রবণে সাতিশয় কাতর ছিলেন, পিতার পারণের জন্যেই প্রাণনাথ কাচা গলায় থাকিতে থাকিতেই, স্বর্গধামে গমন করিতেছেন (এক দৃষ্টিতে মুখাবলোকন করিয়া) মরি, মরি, নাথের ওষ্ঠাধর একেবারে শুষ্ক হইয়া গিয়াছে—ওগো! তোমরা আমার বিপিনকে একবার পাঠশালা হতে ডেকে এনে দাও, আমি একবার (সাশ্রুনয়নে) বিপিনের হাত দিয়া স্বামীর শুষ্কমুখে একটু গঙ্গা জল দি।
পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/১৩৬
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অঙ্ক।
১২৯
(মুখের উপর মুখদিয়া অবস্থিতি)