এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩০
নীল দর্পণ নাটক।
সকলে। আহা! হা!
খুড়ি। (গাত্র ধরিয়া তুলিয়া) মা! এখন এমন কথা মুখে এনো না, (ক্রন্দন) মা! যদি বড় দিদির চেতন থাক্ত তবে এ কথা শুনে বুক ফেটে মর্তেন।
সৈরি। মা! স্বামী আমার ইহ লোকে বড় ক্লেশ পেয়েচেন, তিনি পরলোকে পরম সুখী হন এই আমার বাসনা। প্রাণনাথ দাসী তোমার যাবজ্জীবন জগদীশ্বরকে ডাক্বে, প্রীণনাথ! তুমি পরম ধার্ম্মিক, পরোপকারী, দীনপালক, তোমাকে অনাথবন্ধু বিশ্বেশ্বর অবশ্যই স্থান দিবেন। আহা! হা! জীবনকান্ত! দাসীকে অজ লইয়া যাও তোমার দেবারাধনার পুষ্প তুলিয়া দেবে।
আহা আহা মরি মরি একি সর্বনাশ।
সীতা ছেড়ে রাম বুঝি যায় বনবাস॥
কি করিব কোথা যাব কিসে বাঁচে প্রাণ।
বিপদ বান্ধব কর বিপদে বিধান॥
রক্ষ রক্ষ রমানাথ রমণী-বিভব।
নীলানলে হয় নাশ নবীনমাধব॥
কোথা নাথ দীননাথ প্রাণনাথ যায়।
অভাগিনী অনাথিনী করিয়ে আমায়॥
(নবীনের বক্ষে হস্ত দিয়া দীর্ঘনিশ্বাস)