পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অঙ্ক।
১৩১

পরিহরি পরিজন পরমেশ পায়।
লয় গতি দিয়ে পতি বিপদে বিদায়॥
দয়ার পয়োধি তুমি পতিত পাবন।
পরিণামে কর ত্রাণ জীবন জীবন॥

 সর। দিদি! ঠাকুরুণ চক্ষু মেলিয়াছেন, কিন্তু আমার প্রতি মুখ বিকৃতি করিতেছেন (রোদন করিয়া) দিদি! ঠাকুরুণ আমার প্রত্তি এমন সকোপ নয়নে কখনত দৃষ্টি করেন নাই।

 সৈরি। আহা, আহা, ঠাকুরুণ সরলতাকে এম্নি ভাল বাসেন যে, অজ্ঞানবশতঃ একটু রুষ্ট চক্ষে চাহিয়া সরলতা চাঁপা ফুল বালির খোলায় ফেলিয়া দিয়াছেন—দিদি! কেঁদো না, ঠাকুরুণের চৈতন্য হইলে তোমায় আবার চুম্বন করবেন এবং আদরে পাগলির মেয়ে বলবেন।

(সাবিত্রী গাত্রোত্থান করিয়া নবীনের নিকটে উপবিষ্ট, এবং কিঞ্চিৎ আহ্লাদ প্রকাশ করিয়া নবীনকে একদৃষ্টিতে অবলোকন করিতে করিতে)

 সাবি। প্রসব বেদনার মত আর বেদনা নাই—কিন্ত যে অমূল্য রত্ন প্রসব করিয়াছি মুখ দেখে সব দুঃখ গেল (রোদন করিতে করিতে) আরে দুঃখ! বিবি যদি যমকে ছিটিলিখে কত্তারে