পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অঙ্ক।
১৪৩

বটে, কিন্তু তাহাতে ফল কি? চৈতন বিলের এক শত কেউটে সর্প আমার অঙ্গময় একেবারে দংশন করে, তাহাও আমি সহ্য করিতে পারি, ইটের গাঁথনি উনানে সুঁদ্রি কাষ্ঠের জ্বালে প্রকাণ্ড কড়ায় টগ্বগ্ করিয়া ফুটিতেছে যে গুড়, তাহাতে অকস্মাৎ নিমগ্ন হইয়া খাবি খাওয়াও সহ্য করিতে পারি; আমাবস্যার রাত্রিতে হারে রে হৈ হৈ শব্দে নির্দ্দয় দুষ্ট ডাকাইতেরা সুশীল, সুবিদ্বান্ একমাত্র পুত্ত্রকে বধ করিয়া সম্মুখে পরমা-সুন্দরী পতি-প্রাণা দশ মাস গর্ভবতী সহধর্ম্মিণীর উদরে পদাঘাত দ্বারা গর্ভপাতন করিয়া সপ্তরুষার্জিত ধন সম্পত্তি অপহরণ পূর্ব্বক আমার চক্ষু তলোয়ার ফলায় অন্ধ করিয়া দিয়া যায়, তাহাও সহ্য করিতে পারি; গ্রামের ভিতরে একটা ছাড়িয়া দশটা নীলকুটি স্থাপিত হয় তাহাও সহ্য করিতে পারি, কিন্তু এক মূহুর্ত্তের নিমিত্তেও প্রজাপালক বড় বাবুর বিরহ সহ্য করিতে পারি না।

 কবি। যে আঘাতে মস্তকের মস্তিষ্ক বাহির হইয়াছে, ঐ সাংঘাতিক। সান্নিপাতিকের উপক্রম দেখিয়া আসিয়াছি, দুই প্রহর অথবা সন্ধ্যাকালে প্রাণত্যাগ হইবে। বিপিনের হস্ত দিয়া