তাপ! স্বরপূরনিবাসী বসুকূল নীলকীর্ত্তিনাশায় বিলুপ্ত হইল—আহা! নীলের কি করাল কর!
নীলকর বিষধর বিষপোরা মূখ।
অনলশিখায় ফেলে দিল যত সুখ॥
অবিচারে কারাগারে পিতার নিধন।
নীলক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হলেন পতন॥
পতি পুত্রশোকে মাতা হয়ে পাগলিনী।
স্বহস্তে করেন বধ সরলা কামিনী॥
আমার বিলাপে মার জ্ঞানের সঞ্চার।
একেবারে উথলিল দুঃখ পারাবার॥
শোকশূলে মাখা হলো বিষ বিড়ম্বনা।
তখনি মলেন মাতা কে শোনে সান্ত্বনা॥
কোথা পিতা কোথা পিতা ডাকি অনিবার।
হাস্য মূখে আলিঙ্গন কর একবার॥
জননি জননি বলে চারি দিকে চাই।
আনন্দমময়ীর মূর্ত্তি দেখিতে না পাই॥
মা বলে ডাকিলে মাতা অমনি আসিয়ে।
বাছা বলে কাছে লন মূখমূছাইয়ে॥
অপার জননীস্নেহ কে জানে মহিমা।
রণে বনে ভীতমনে বলি মা, মা, মা মা,॥
সুখাবহ সহোদর জীবনের ভাই।
পৃথিবাতে হেন বন্ধু আর ছুটি নাই॥
নয়ন মেলিয়া দাদা দেখ এক বার।
বাড়ী আসিয়াছে বিন্দুমাধব তোমার॥