পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নীলদর্পণ নাটক।
১৭

 সাধু। (স্বগত) হা ভগবান্! শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল। (প্রকাশে) হুজুর, যে ৯বিঘা নীলের জন্যে চিহ্ণিত হইয়াছে, তাহা যদি কুটির লাঙ্গল, গোরু ও মাইন্দার দিয়া আবাদ হয়, তবে আমি আর ৯বিঘা নূতন করিয়া ধানের জন্যে লইতে পারি। ধানের জমিতে যে কারকিত করিতে হয়, তার চার গুণ কারকিত নীলের জমিতে দরকার করে, সুতরাং যদিও ৯বিঘা আমার চাস দিতে হয় তবে বাকী ১১ বিঘার পড়ে থাক্‌বে, তা আবার নূতন জমি আবাদ কর্‌বো।

 উড। শালা বড় হারাম্‌জাদা, দাদনের টাকা নিবি তুই, চাস দিতে হবে আমি, শালা বড় বজ্জাত (জুতার গুঁতা প্রহার) শ্যামাচাঁদ্‌কা সাৎ মুলাকাৎ হোনেছে হারামজাদ্‌কি সব ছােড় যা গা (দেয়াল হইতে শ্যামচাঁদ গ্রহণ)

 সাধু। হুজুর, মাছি মেরে হাত কাল করা মাত্র, আমরা—

 রাই। (সক্রোধে) ও দাদা, তুই চুপ দে, ঝা ন্যাকে নিতি চাচ্চে ন্যাকে দে। ক্ষিদের চোটে নাড়ী ছিঁড়ে পড়্‌লো, সারাদিন্‌ডে গ্যাল, নাতিও পালাম না, খাতিও পালাম না।