বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
নীলদর্পণ নাটক।

অনির্ব্বচনীয় সুখ লাভ করি। মনে করিয়াছিলাম সেই সুখের সময় আসিয়াছে, কিন্তু হরিষে বিষাদ, কালেজ বন্ধ হইয়াছে, কিন্তু বড় বিপদে পড়িয়ছি, যদি পরমেশ্বরের আনুকূল্যে উত্তীর্ণ হইতে না পারি তবে আর মুখ দেখাইতে পারিব না নীলকর সাহেবেরা গােপনে গােপনে পিতার নামে এক মিথ্যা মােকদ্দমা করিয়াছে, তাহাদের বিশেষ যত্ন তিনি কোনরূপে কারাবদ্ধ হন। দাদা মহাশয়কে এ সংবাদ আনুপূর্ব্বিক লিখিয়া আমি এখানকার তদ বিরে রহিলাম। তুমি কিছু ভাবনা করাে না, করুণাময়ের কৃপায় অবশ্যই সফল হইব। প্রেয়সি, আমি তােমার বঙ্গভাষার সেস্কপেয়ারের কথা ভূলি নাই, এক্ষণে বাজারে পাওয়া যায় না, কিন্তু প্রিয়বয়স্য বঙ্কিম তাঁহার খান দিয়েছেন বাড়ি যাইবার সময় লইয়া যাইব—বিধুমুখি, লেখা পড়ার সৃষ্টি কি সুখের আকর, এত দূরে থাকিয়াও তােমার সহিত কথা কহিতেছি। আহা! মাতাঠাকুরাণী যদি তােমার লিখনের প্রতি আপত্তি না করিতেন, তবে তােমার লিপিসুধা পান করে আমার চিত্তচকোর চরিতার্থ হইত ইতি।

তােমারি বিন্দমাধব।”