বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
নীলদর্পণ নাটক।

এই দুর্গতি হবে। মাতা আমার পিতার ন্যায় ভীতা নন, তাঁহার সাহস আছে, তিনি একেবারে হতাশ হন না, তিনি একাগ্রচিত্তে ভগবতীকে ডাকিতেছেন। কুরঙ্গনয়না আমার দাবাগ্নির কুরঙ্গিনী হয়েছেন, ভয়ে ভাবনায় পাগলিনীপ্রায়, নীলকুটির গুদামে তাঁর পিতার পঞ্চত্ব হয়, তাঁর সতত চিন্তা, পাছে পতির সেই গতি ঘটে। আমি কত দিকে সান্তনা করিব, সপরিবারে পলায়ন করা কি বিধি, না, পরোপকার পরম ধর্ম্ম, সহসা পরাঙ্‌মুখ হব না, —শামনগরের কোন উপকার করিতে পারিলাম না, চেষ্টার অসাধ্য ক্রিয়া কি, দেখি কি করিতে পারি—

(দুই জন অধ্যাপকের প্রবেশ)

 প্রথম। ওহে বাপু, গোলোকচন্দ্র বসুর ভবন এই পল্লীতে বটে —পিতৃব্যের প্রমুখাত্ শ্রুত আছি বসুজ বড় সাধু ব্যক্তি, কায়স্থকুলতিলক।

 নবীন। (প্রণিপাত করিয়া) ঠাকুর, আমি তাঁহার জ্যেষ্ঠ পুত্র।

 প্রথম। বটে, বটে, আহা হা, সাধু সাধু, এবম্বিধ সুসন্তান সাধারণ পূণ্যের ফল নয়; যেমন বংশ——