পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
নীলদর্পণ নাটক।

স্ত্রী পুত্রের দুঃখ দেখিলে বক্ষ বিদীর্ণ হয়—উনানের হাঁড়ি উনানেই রহিয়াছে, উঠানের ধান উঠানেই শুকাইতেছে, গোয়ালের গোরু গোয়ালেই রহিয়াছে—ক্ষেত্রের চাস সম্পূর্ণ হলো না, সকল ক্ষেত্রে বীজ বপন হলো না, ধানের ক্ষেত্রের ঘাস নির্ম্মূল হলো না, বৎসরের উপায় কি—কোথা নাথ, কোথা তাত শব্দে ধূলায় পতিত হইয়া রোদন করিতেছে। কোন কোন মাজিষ্ট্রেট সুবিচার করিতেছেন, তাঁহাদের হস্তে এ আইন যমদণ্ড হয় নাই। আহা! যদি সকলে অমরনগরের মাজিষ্ট্রেটের ন্যায় ন্যায়বান্ হইতেন, তবে কি রাইয়তের পাকা ধানে মই পড়ে, শস্যপূর্ণ ক্ষেত্রে শলভ পতন হয়? তা হলে কি আমায় এই দুস্তর বিপদে পতিত হইতে হয়? হে লেফ্‌টেনাণ্ট গভর্ণর! যেমন আইন করিয়াছিলে, তেমনি সজ্জন নিযুক্ত করিতে তবে এমন অমঙ্গল ঘটিত না। হে দেশপালক! যদি এমত একটি ধারা করিতে যে, মিথ্যা মোকদ্দমা প্রমাণ হইলে ফরিয়াদীর মেয়াদ হইবে; তাহা হইলে অমরনগরের জেল নীলকরে পুর্ণ হইত এবং তাহারা এমত প্রবল হইতে পারিত না —আমাদিগের মাজিষ্ট্রেট বদলি হইয়াছে, কিন্তু