এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
নীলদর্পণ নাটক।
সাবিত্রী। (ক্রন্দন করিতে করিতে) না মা! আমার নবীন বাড়ী না ফিরে এলে আমি আর এদেহে অন্ন জল দেব না, বাছারে আমার খাওয়াবে কে?
সৈরি। সেখানে ঠাকুরপোর বাসা আছে, বামন আছে, কষ্ট হবেনা। তুমি এস স্নান করসে।
(তৈলপাত্র লইয়া সরলতার প্রবেশ।)
ছোট বউ! তুমি ঠাকুরুণকে তৈল মাখায়ে স্নান করায়ে রান্নাঘরে নিয়ে এস, আমি খাওয়ার জায়গা করিগে।
(সৈরিন্ধ্রীর প্রস্থান সরলতার তৈলমর্দ্দন।)
সাবিত্রী। তোতাপাখী আমার নীরব হয়েছে, মার মুখে আর কথা নাই, মা আমার বাসি ফুলের মত মলীন হয়েছেন। আহ, আহা! বিন্দুমাধবকে কত দিন দেখি নাই, বাবার কালেজ বন্দ হবে বাড়ী অস্বেন আশা করে রইচি, তাতে এই দায় উপস্থিত! (সরলতার চিবুকে হস্ত দিয়া) বাছার মুখ শুকাইয়া গিয়াছে, এখনো বুঝি কিছু খাউনি? ঘোর বিপদে পড়ে রইচি, তা বাছাদের খাওয়া হলো কি না, দেখিব কখন্? আমি আপনি স্নান করিতেছি, তুমি কিছু খাওগে মা, চল আমিও যাই।
(উভয়ের প্রস্থান)