পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যুব-আন্দোলন

উচিত। যেখানে এরূপ পাশবিকতা দেখা দিয়াছে সেখানে একতার নামে এ সব ব্যাপার ধামাচাপা দিয়া কোনও লাভ নাই। সমাজের দেহে গলদ যাহা আছে, তাহা শোধন করিয়া ফেলা উচিৎ।


 দুঃখের বিষয় এই যে, যাহারা গুণ্ডামির আশ্রয় লয়—তাহারা একবার ভাবিয়াও দেখে না যে ইহার পরিণাম কি। প্রথমতঃ যে ব্যক্তি অপরের উপর গুণ্ডামি করে তার জানা উচিত যে একদিন তাহারা উপরও গুণ্ডামি হইতে পারে কারণ সব মানুষ সমানভাবে সহিষ্ণু ও অহিংস নয়। তার পর আর একটী কথা তার মনে রাখা উচিত যে, দেশের জনসাধারণ এ গুণ্ডামি অনুমোদন করে না—সুতরাং গুণ্ডামি যে করিবে সে যে সাধারণের সহানুভূতি ও ভালবাসা হারাইবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। সুতরাং গুণ্ডামি আপনাকেই ব্যর্থ করিয়া থাকে।


 আজকাল যুব-আন্দোলন সম্বন্ধে যত লেখা বাহির হয় তার মধ্যে কখনও কখনও কেবল সমালোচনাই পাওয়া যায়—পথ নির্দ্দেশ পাওয়া যায় না। ফলে, তরুণ-সমাজের মধ্যে একটা অর্থহীন বিশৃঙ্খলার ভাব যেন আসিয়া পড়িয়াছে। মানুষ সবের মধ্যে কেবল দোষ এবং খুঁত দেখিতে শেখে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট কোনও নির্দ্দেশ পায় না—কোন্ পথে চলা উচিত বা কাহাকে

১১৩