পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



যুব-আন্দোলন

করিয়া আদর্শের প্রেরণায় জীবনটাকে অনেক সময়ে যে হাসিতে হাসিতে বিলাইয়া দেওয়া প্রয়োজন―এ কথা আমরা কার্য্যতঃ স্বীকার করিতে চাই না। এই জন্য প্রেরণা বা initiative এর অভাবের দরুণ, ব্যক্তি ও জাতির ইচ্ছা শক্তি ক্রমশঃ ক্ষীণ ও নিস্তেজ হইয়া পড়িয়াছে। ব্যক্তির ও জাতির জীবনে ইচ্ছাশক্তি পুনরায় জাগাইতে না পারিলে মহৎ কিছু করা আমাদের পক্ষে সম্ভবপর হইবে না। শুধু আদর্শের প্রেরণায়ই ইচ্ছাশক্তি জাগরিত হয়। আমরা আদর্শ ভুলিয়াছি বলিয়াই আমাদের ইচ্ছাশক্তি আজ এত ক্ষীণ। বর্ত্তমানের ভাব-দৈন্য বিদূরিত করিয়া নিজ নিজ জীবনে আদর্শের প্রতিষ্ঠা না করিতে পারিলে আমাদের প্রেরণাশক্তি জাগিবে না এবং প্রেরণাশক্তি না জাগিলে চিন্তাশক্তি ও কর্ম্মপ্রচেষ্টা পুনরুজ্জীবিত হইবে না।

 সমাজের পুনর্গঠনের জন্য আজকাল পাশ্চাত্যদেশে নানা প্রকার মতের ও কর্ম্ম প্রণালীর প্রচলন দেখিতে পাওয়া যায় যথা―Socialism, State Socialism, Guild Socialism. Syndicalism, Philosophical Anarchism, Bolshevism, Fascism, Parliamentary Democracy, Aristocracy, Absolute Monarchy, Limited Monarchy, Dictatorship ইত্যাদি। এই সব মতবাদের বিষয় আমি সাধারণ ভাবে ২/১টী কথা বলিতে চাই। প্রথমতঃ সকল মতের ভিতর অল্প বিস্তর সত্য

১২৭