পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

মুখ না চাহিয়া নিজেরা উৎসাহী হইয়া চেষ্টা করিতেছেন, ইহাকে আমি বর্ত্তমান সময়ের অত্যন্ত আশাপ্রদ লক্ষণ বলিয়া মনে করি। যদি আপনাদের এই মহৎ প্রচেষ্টার সাফল্যের একটুও সাহায্য করিতে পারি, তবে আমি নিজেকে ধন্য এবং আমার পরিশ্রম সার্থক মনে করিব।

 যাঁহারা বর্ত্তমানের এই যুব-আন্দোলনের প্রতি খানিকটা বিরূপ, অথবা ইহার উদ্দেশ্য ও সার্থকতা উপলব্ধি করিতে অক্ষম বলিয়া স্বীকার করেন, এদেশে এরূপ কেহ কেহ আছেন—এবং সাধারণের চক্ষে তাঁহাদের মধ্য কেহ বা প্রতিষ্ঠাবান্, যুব-আন্দোলনের গূঢ় মর্ম্ম বুঝিতে পারেন নাই, অথচ তাঁহারা যোগদান করেন নাই বলিয়া এরূপ কোনও আন্দোলন গড়িয়া উঠা উচিত নয়—সম্ভবতঃ এই সারণার বশবর্ত্তী হইয়া যুব-আন্দোলনে যোগদান করিয়াছেন, এরূপ লোকের অভাব নাই।

 ভারতবর্ষে আজিকার এই নবজাগরণের প্রথম উন্মেষের সময় হইতেই এক এক করিয়া অনেকগুলি আন্দোলন-প্রচেষ্টা ও ভাবধারার আবির্ভাব হইয়াছে। ইহাদের অস্তিত্ব সত্ত্বেও যে যুব-আন্দোলনের রূপ লইয়া অপর একটী আন্দোলনের জন্ম হইবে, ইহা হইতেই স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে ইহার আবির্ভাবের যথেষ্ট প্রয়োজন ছিল। ব্যক্তি ও জাতির প্রাণে নিশ্চয়ই এমন কোনও গভীর আকাঙ্ক্ষা আত্মপ্রকাশ করিয়াছে, যাহার ফলে যুব-আন্দোলনের সৃষ্টি হইয়াছে। অন্তরের

১৪০