পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

ও সুদৃঢ় নৈতিকতার প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে। সমাজকে নবজীবন দান করিতে হইলে আমাদিগকে নির্দ্দয়ভাবে বাঁধা আচারব্যবস্থা ও ভাবধারা দূর করিয়া নূতন ও বলীয়ান্ সমাজ-ব্যবস্থা ও ভাবসমূহের প্রবর্ত্তন করিতে হইবে। আরও যুগোচিত আদর্শের আলোকে আমাদিগকে বর্ত্তমান সামাজিক ও নৈতিক ব্যবস্থাকে যাচাই করিয়া লইতে হইবে—এবং সম্ভবতঃ, আমাদিগকে এরূপ নৈতিক ও সামাজিক আদর্শের অবতারণা করিতে হইবে, যাহা ভবিষ্যতের পথও নিয়ন্ত্রিত করিবে।

 চিন্তা ও কর্ম্মের নবধারার প্রবর্ত্তন করিতে গেলে যে বর্ত্তমান ভাবধারা ও স্বার্থ এবং শক্তিশালী দলের সহিত আমাদের বিরোধ বাধিবে, তাহা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তাহাতে ভীত হইলে আমাদের চলিবে না। বিবোধ ও বহু বাধার মধ্য দিয়াই যুব-আন্দোলনকে অগ্রসর হইতে হইবে। এমন অনেক সময় আসিবে, যখন আমরা চারিদিক হইতে বাধা পাইব এবং সমস্ত জগৎ হইতে বিচ্ছিন্ন বলিয়া আমাদিগকে মনে হইবে। সেই সঙ্কট সময়ে আমাদের সেই আইরিশ মহাপুরুষের কথা মনে রাখিতে হইবে, যিনি আসন্ন বিপদের মাঝখানে দাঁড়াইয়া দৃপ্তকণ্ঠে বলিয়াছিলেন, —“জগৎকে যেমন একজন (খৃষ্ট) উদ্ধার করিয়াছিলেন, আয়ার্লণ্ডকে তেমনি এক জনই উদ্ধার করিতে পারে।” যুব-আন্দোলনের উদ্দেশ্যানুযায়ী যে মুহূর্ত্তেই আপনারা জীবনের সকল ক্ষেত্রে

১৪৪