পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যুব-আন্দোলন

অর্থনৈতিক, শরীরগত এবং শিক্ষা-দীক্ষাগত—যুব-আন্দোলনের এই পাঁচটী দিক্ আছে। এই আন্দোলনের লক্ষ্য দ্বিধাবিভক্ত— উপরোক্ত পাঁচটী বিভাগে বন্ধন হইতে মুক্তি লাভ করা এবং এই মুক্তি লাভ করিয়া আপনাকে সার্থক করিবার ও প্রকাশ করিবার পথে নিজেকে উদ্দীপিত করা। সুতরাং, ইহা একাধারে ধ্বংস ও গঠন মূলক। একদিক হইতে ভাঙ্গিয়া না ফেলিলে আর একদিক হইতে গঠন করা যায় না। সেই জন্যই দেখিতে পাই, প্রকৃতির মধ্যে ভাঙ্গাগড়া পাশাপাশি চলিতেছে। ধ্বংস ভাল নয়, গঠনই ভালো এবং ধ্বংস না করিয়া গঠন করা সম্ভব—একথা মনে করিলে অত্যন্ত ভুল করা হইবে। আবার, ধ্বংসই ধ্বংসের লক্ষ্য, একথা মনে করাও ভুল হইবে। জীবনের কোনও একটী ক্ষেত্রে স্বাধীনতার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি ও বিস্তৃতি লাভ করিলেই অনেক জিনিষ ভাঙ্গিয়া ফেলিতে হয়, অনেক সময়ে হয়ত নির্দ্দয় ভাবে ভাঙ্গিয়া ফেলিতে হয়। অসত্য, কপটতা, বন্ধন ও সাম্যের অভাবকে কোন মতেই মানিয়া চলা যায় না। এই সমস্ত বন্ধন শৃঙ্খল ছিন্ন করিতে হইলে আমাদিগকে সর্ব্ব শক্তি নিয়োজিত করিতে হইবে। যখন আমাদের কর্ত্তব্য শুধু সম্মুখে অগ্রসর হওয়া, তখন পশ্চাতের মুখ চাহিয়া পিছনে পড়িলে চলিবে না।

 ভারতবর্ষে এবং ভারতবর্ষের বাহিরের বহু আধুনিক আন্দোলনই সংস্কার-মূলক। এই সকল আন্দোলন জীবনের প্রান্তভাগ স্পর্শ

১৪৭