পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

আমাদের ছাত্রেরা যেরূপ ব্যবহার পাইয়া থাকে তাহা মনুষ্যত্ব বিকাশের সহায়ক বা অনুকূল নয়।

 তবে আশার কথা এই যে, এখনকার ছাত্রেরা আর নিশ্চেষ্ট নয়। সমাজের অপেক্ষায় বসিয়া না থাকিয়া তাহারা নিজেদের উদ্ধার-সাধনে ব্রতী হইয়াছে। তাই আজ সমগ্র বঙ্গদেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন আমরা দেখিতে পাইতেছি। ছাত্র-সমাজ নিজেদের উদ্ধার সাধন করিয়া নূতন সমাজ সৃষ্টি করিতে বদ্ধপরিকর হইয়াছে। আমি আশা করি ও বিশ্বাস করি যে, যে সমাদর ও শ্রদ্ধা স্বাধীন দেশের ছাত্রসমাজ সমস্ত দেশের নিকট পাইয়া থাকে, সে সমাদর ও শ্রদ্ধা এ দেশের ছাত্রসমাজও ক্রমশঃ অর্জ্জন করিবেন——নিজের শক্তি, সাধনা ও যোগ্যতার বলে; শ্রীযুক্ত খড়্গ বাহাদুর সিংহের মত ছাত্র আজ সমস্ত দেশে সকল শ্রেণীর নিকট শ্রদ্ধা ও ভক্তি অর্জ্জন করিয়াছে নিজের সাহস ত্যাগ ও শক্তির বলে। ঠিক এমনই ভাবে বাঙ্গলার ছাত্রসমাজ ক্রমশঃ আত্ম-প্রতিষ্ঠা লাভ করিবে।

 মানুষের উন্নতির পথে সর্ব্বাপেক্ষা বড় অন্তরায় ভ্রান্ত আদর্শ। মানুষ যখন কোনও সৎ বা অসৎ কাজ করে, তখন সে কোন নীতির দোহাই দিয়া আত্মপ্রসাদ লাভ করিতে চায়। বর্ত্তমান ছাত্রসমাজ কতকগুলি ভ্রান্ত আদর্শ গ্রহণ করিয়া তারই সাহায্যে অন্যায় আচরণ করে এবং অন্যায় আচরণের প্রশ্রয় দেয়। উদাহরণস্বরূপ আমি একটি কথার উল্লেখ করিতে পারি যাহা

১০