পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

নন্দের মধ্যে পাওয়া যায়। “Freedom, freedom is the song of the soul”, এই বাণী যখন স্বামীজির অন্তরের রুদ্ধ দুয়ার ভেদ করিয়া নির্গত হয় তখন তাহা সমগ্র দেশবাসীকে মুগ্ধ ও উন্মত্তপ্রায় করিয়া তোলে। তাঁর সাধনার ভিতর দিয়া—আচরণের ভিতর দিয়া কথা ও বক্তৃতার ভিতর দিয়া—এই সত্যই বাহির হইয়াছিল।

 স্বামী বিবেকানন্দ মানুষকে যাবতীয় বন্ধন হইতে মুক্ত হইয়া খাঁটি মানুষ হইতে বলেন এবং অপর দিকে সর্ব্ব-ধর্ম্মসমন্বয় প্রচারে ভারতের জাতীয়তার ভিত্তি স্থাপন করেন। রামমোহন রায় মনে করিয়াছিলেন যে, সাকারবাদ খণ্ডন করিয়া এবং বেদান্তের নিরাকারবাদ প্রতিষ্ঠার দ্বারা তিনি জাতিকে একটা সার্ব্বভৌমিক ভিত্তির উপর দাঁড় করাইতে পারিবেন। ব্রাহ্ম সমাজও সেই পথে চলিয়াছিল কিন্তু ফলে হিন্দু সমাজ যেন আরও দূরে সরিয়া গেল। তার পর বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ মূলক বা দ্বৈতাদ্বৈতবাদ মূলক সত্য প্রচারের দ্বারা এবং সকল-মতসহিষ্ণুতার, শিক্ষা দিয়া রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দ জাতিকে একসূত্রে গাঁথিবার চেষ্টা করিলেন।

 যে স্বাধীনতার অখণ্ড রূপ বিবেকানন্দের মধ্যে আমরা দেখিতে পাই তাহা বিবেকানন্দের যুগে রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে প্রবেশ করে নাই। অরবিন্দের মুখে আমরা সর্ব্বপ্রথমে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার বাণী শুনিতে পাই। অরবিন্দ যখন “বন্দেমাতরম্‌” পত্রিকায় লিখিলেন—“We want complete autonomy free from British control”

২৬