পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ছাত্র আন্দোলন

—তখন স্বাধীনতাকামী তরুণ বাঙ্গালী বুঝিল যে, এত দিন পরে সে মনের মত মানুষ পাইয়াছে। ভাবপ্রবণ বাঙ্গালী স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখিয়া বিভোর হইল। এখনও কাণে বাজে সেই বাণী যাহা অরবিন্দ কলিকাতার মুক্ত প্রাঙ্গনে দাঁড়াইয়া একদিন বলিয়াছিলেন:—

 “I should like to see some of you becoming great; great, not for your own sake, but to make India great—so that she may stand up with head erect among the free nations of the world.”

 পরিপূর্ণ স্বাধীনতার প্রেরণা পাইয়া বাঙ্গালী জাতি ঝড় তুফান অগ্রাহ্য করিয়া, বিপ্লবের ঝঞ্ঝার ভিতর দিয়া ছুটিয়া আসিয়াছে।

 ১৯২১ খ্রীষ্টাব্দে আমরা যখন আসিয়া পৌঁছিলাম তখন অসহযোগের বাণীর সাথে সাথে আমরা আর একটা কথা শুনিলাম মহাত্মা গান্ধীর মুখে—“জনসাধারণকে বাদ দিলে এবং তাহাদের মধ্যে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা না জাগাইতে পারিলে, স্বরাজ লাভ হইতে পারে না।” অসহযোগের পন্থা ভারতে বা বাঙ্গলা দেশে নূতন কিছু নয়। সে দিনও যশোহর জেলাবাসী এই পন্থা অবলম্বন করিয়া নীলকরের অত্যাচার হইতে আত্মরক্ষা করিয়াছিল। কিন্তু যে “গণবাণী” মহাত্মা গান্ধীর মুখে শোনা যায়, তাহা ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে নূতন কথা।

২৭