পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

সেখানে ছাত্রদিগকে এ কাজে উৎসাহই দেওয়া হইয়া থাকে, কারণ, ছাত্রদের মধ্য হইতেই ভবিষ্যতের মনীষী ও রাষ্ট্রবিদ্‌গণের উদ্ভব হয়। ভারতবর্ষের ছাত্রেরা যদি রাষ্ট্রীয় কর্ম্মে যোগদান না করে, তবে কর্ম্মীই পাওয়া যাইবে কোথা হইতে এবং তাহাদের শিক্ষাই বা হইবে কোথায়? তারপর, ইহা দ্বারা যে চরিত্র ও মনুষ্যত্বের বিকাশ হয়, তাহা স্বীকার করিতেই হইবে। “কর্ম্মবিহীন বিজন সাধনা”-য় কখনও চরিত্রগঠন হয় না, তাই রাজনৈতিক, সামাজিক ও কলাবিষয়ক কাজে নিয়োজিত থাকা অতি আবশ্যক। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবলমাত্র গ্রন্থকীট, ভাল ছেলে ও আপিসের কেরাণী গড়িয়া তোলার চেষ্টা করিয়া চলা উচিত নহে—তাহাদের উচিত, এমন সব যুবক গড়িয়া তোলা, যাহারা জীবনের সকল দিকেই দেশের জন্য সম্মান অর্জ্জন করিয়া যশস্বী হইবে।

 বর্ত্তমান কালের একটা সুলক্ষণ দেখিতে পাইতেছি এই যে, ভারতবর্ষের সকল স্থানেই একটা সত্যকার ছাত্র-আন্দোলন গড়িয়া উঠিয়াছে। এই আন্দোলনকে আমি ব্যাপকতর যৌবন-আন্দোলনের একটী অংশ বলিয়া মনে করি। আজকালকার ছাত্র-সম্মিলনী এবং দশ বৎসর পূর্ব্বের ছাত্র-সম্মিলনীর মধ্যে প্রচুর প্রভেদ আছে। সে সময়কার ছাত্র-সম্মিলনীগুলি সাধারণতঃ সরকারের উদ্যোগেই অনুষ্ঠিত হইত এবং তাহার প্রবেশদ্বারেই লিখিত থাকিত— “রাজনীতি সম্বন্ধে কথা বলা নিষিদ্ধ।” একদিক দিয়া, সেই সকল

৪২