পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ছাত্র আন্দোলন

সম্মিলনীর পূর্ব্বকালের কংগ্রেসের সঙ্গে তুলনা দেওয়া যাইতে পারে— সেখানে প্রথম প্রস্তাবেই রাজার প্রতি বাধ্যতা জানান হইত। ভারতবর্ষের জাতীয় কংগ্রেসে ও ছাত্র আন্দোলনে উভয় ক্ষেত্রেই আমরা সে-অবস্থা অতিক্রম করিয়া আসিয়াছি। আজ আমাদের চিন্তা ও আলোচনার পথ অনেক বেশী মুক্ত হইয়া গিয়াছে।

 আজিকার ছাত্র আন্দোলন দায়িত্বহীন যুবক-যুবতীর একটা লক্ষ্যহীন অভিযান নহে। দায়িত্বশীল, কর্ম্মক্ষম যে-সকল যুবকযুবতী চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব সুগঠিত করিয়া দেশের কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করিতে চান, ইহা তাঁহাদের আন্দোলন। ইহার দুইটী কর্ম্মধারা আছে অথবা থাকা উচিত। প্রথমতঃ, যে-সব সমস্যা বিশেষভাবে ছাত্রদিগের নিজস্ব, তাহার সমাধানের চেষ্টা করা এবং শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক দিক্ দিয়া একটা নবজীবন আনয়ন করার চেষ্টা করা প্রয়োজন। দ্বিতীয়তঃ, ছাত্রেরা ভবিষ্যতের দেশবাসী একথা স্মরণ করিয়া তাহাদিগকে জীবনের সংগ্রামক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত করিয়া গড়িয়া তোলা এবং সংসারে যে সকল সমস্যা ও বিরুশদ্ধক্তির সম্মুখীন হইতে হইবে, তাহার পূর্ব্বাভাষ এখন হইতেই তাহাদিগকে দেওয়া প্রয়োজন।

 আজকালকার যৌবন-আন্দোলনের বিশেষত্ব হইতেছে—একটা চঞ্চলতার ভাব, বর্ত্তমান অবস্থার প্রতি একটা অসহিষ্ণুতা এবং নূতনতর ও উৎকৃষ্টতর মানব-সমাজ স্থাপনা করিবার জন্য প্রবল

৪৩