পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ছাত্র আন্দোলন

কেন সে বাঁচিয়া আছে? তাহাকে আবার মহান হইতে হইবে, আবার তাহাকে উন্নত হইতে হইবে। জগতকে মহত্তর ও বৃহত্তর কিছু দান করিবার জন্যই ভারতবর্ষ আজও বাঁচিয়া আছে।

 ভারতের লক্ষ্য কি? তাহার কর্ত্তব্য কি? প্রথমতঃ নিজকে বাঁচাইতে হইবে এবং তারপর জগতের সভ্যতার ভাণ্ডারে কিছু না-কিছু দান করিতে হইবে। অর্দ্ধ শতাধিক অসুবিধার মধ্যে থাকিয়াও ভারতবর্ষ আজ যাহা দিয়াছে তাহা নিতান্ত তুচ্ছ নহে। এখন একবার কল্পনা করুন দেখি, ভারতবর্ষ যদি তাহার নিজ অভিপ্রায় অনুসারে, নির্ব্বিবাদে ও স্বাধীন ভাবে নিজকে বিকশিত করিতে পারিত তাহা হইলে মানব জাতির শিক্ষা ও সভ্যতার ভাণ্ডারে তাহার দান আরও কত বেশী হইত?

 আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, এ জাতির মধ্যে অক্লান্ত কর্ম্ম প্রেরণা জাগাইতে পারিলে ভারতবর্ষ অসাধ্য সাধন করিতে পারে—দুনিয়ার সমস্ত জাতিকে চমৎকৃত করিতে পারে। আমি একথাও বিশ্বাস করি যে, একবার এই ঘুমন্ত জাতির নিদ্রা ভঙ্গ হইলে এযুগের সর্ব্বাপেক্ষা উন্নতিশীল পাশ্চাত্য জাতি সমূহকেও ছাড়াইয়া যাইতে পারি। আজ আমাদের সেই যাদুকরের দণ্ডেরই প্রয়োজন —যে দণ্ড সঞ্চালনে আমাদের সমাজের সর্ব্বত্র সাজ সাজ রব উঠিবে। ফরাসী দার্শনিক বার্গসন elan vital অর্থাৎ প্রেরণাদায়িণী শক্তির কথা বলিয়াছেন। এই শক্তিই সমগ্র জগতকে

৬৩