পাতা:নেক্‌লেশ - শ্রীভবতারণ.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । লক্ষ কথা না হইলে বিবাহ হয় না। আমাদের সমাজের এই প্ৰাচীন চলিত বচন অনেক স্থলে প্ৰায়ই অন্যথা হয় না । যে দিন কুমুদিনী সুধাংশু। ও ভূষণকে মিত্তিরদের অন্নপূর্ণা দেখাইব বলিয়া প্ৰতিজ্ঞা করে ;— যে দিন সুধাংশু কুমার অন্যমনস্কভাবে কুমুদিনীর নিকট “অন্নপূর্ণ” সাক্ষাতের সম্মতি জ্ঞাপন করে ;-সেইদিন হইতে এই বিবাহের কথার রীতিমত সুচনা হইতে লাগিল । কন্যা বরপক্ষীয়েরা উভয়েই পরম্পর পরস্পরের সুখ্যাতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। কিন্তু যাহার লোকের ভাল দেখিতে ভালবাসে ন! ;-যাহাদের সকল বিষয়ে স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া সমালোচনা করা অভ্যাস আছে ;—এইরূপ কয়েকটী লোকের পক্ষে এ বিবাহের প্রস্তাব ভাল লাগিল না । এরূপ পাবনিন্দ - প্রিয় স্ত্রী সমালোচিকাগন জলের ঘাটে, নিস্কৰ্ম্ম পুরুষ সমালোচকগণ গ্রামের মুদীখানার দোকানে বসিয়া অনেক ভবিষ্যৎ আলোচনায় প্ৰবৃত্ত হইল। ঘোষেদের ছোট গিনি, মিত্ৰ গৃহিণীকে একদিন পুকুর ঘাটে স্নান করিতে করিতে বলিল-বলি হঁ্যালো বড় বউ ! শুনতে পাচ্ছি। ওদের সুদের সঙ্গে নাকি তোর মেয়ে অন্নপূর্ণার বিয়ে দিবি ? মরণ আর কি । মেয়েটাকে বিষ খাইয়ে মারতে পারলিনি ? মিত্ৰ গৃহিণী কন্যাদয়গ্ৰস্ত। লোকের পরামর্শ লওয়া, লোকের