পাতা:নেক্‌লেশ - শ্রীভবতারণ.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । VOC বিকৃত হইয়া গেল। এতদিনের পর নলিনীর স্মৃতি তাহার হৃদয়ের বিস্মৃতি অাঁধারে ডুবিয়া যাইবার উপক্রম হইল। সুধাংশু ভাবিল এমন সোনার প্রতিমাকে আমি উপেক্ষায় আনিয়াছি ; এমন দেবী প্রতিমাকে আমি অনাদর করিতেছি ; আমি কি নিষ্ঠার ! সারারাত্রির মধ্যে সুধাংশুর নয়নকোণে নিদ্রার স্থান লাভ হইল না । ভোরের বেলা ভূষণ চন্দ্ৰ আসিয়া যখন তাহাকে ডাকিল, তখন চমকিত হইয়া সুধাংশু বলিল-“আমাকে কি একটু ঘুমাইতে দিবে না !” ভূষণচন্দ্ৰ দেখিল-নৈশোৎসবের প্রভাতী মালার ন্যায় স্নান-মথিত সুধাংশু কুমারের সুন্দর মুখখানি ;-শারদ পূর্ণিমাকাশের জলদজালাবৃত পূৰ্ণচন্দ্রের ক্ষীণ হাসিরেখার মত সুধাংশুর সুন্দর মুখের সুন্দর হাসির বিকৃতাবস্থা। ভূষণ ভাবিল কেন এমন হইল। ;-ইহা কি তাহার পুর্বদিনের অপরিণামদৰ্শিতার ফল, না, সংসার সাগরের প্রথম তরঙ্গাঘাতের ফল ?” ভূষণ সুধাংশুকে জিজ্ঞাসা করিল—“কাল রাত্রে কি তোমার অদৃষ্ট নদ্রালাভ হয় নাই ? সুধাংশু চক্ষু রাগড়াইতে রাগড়াইতে কহিল-“অনুমান মিথ্যা নয়।” ভূষণ বলিল-“মিথ্যা হওয়াই আশ্চৰ্য্য। নায়িকার প্রথম সন্দর্শনে নায়কের ভাগ্যে এমন কত অনিদ্রা-কত অনশন-ক’ত শারীরিক ক্লেশ৷ লাভ নভেলে দেখিতে পাওয়া যায়। কবি কল্পনা কি সমস্তই মিথ্যা ?” ‘সুধাংশু দুৰ্গা নাম স্বরণ করিল।” ভূষণ হাসিতে হাসিতে জিজ্ঞাসা করিল- এবৎসর কি অন্নপূর্ণ श्रृङा श्शेरब ? “সকাল বোলা অষাঢ়ের পন্সলার মত যে ঘ্যানঘ্যাননি আরম্ভ করলে