পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৩
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

দুরাশা মাত্র এবং তাহারা যে পর্যন্ত সঘবদ্ধ না হইতেছে ততদিন তাহাদিগের পক্ষে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান সম্ভবপর নয়।

শিক্ষিত সম্প্রদায়

 মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সম্প্রদায়ই দেশের মেরুদণ্ড, গণ আন্দোলনের অগ্রদূত। কিন্তু আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে আদর্শনিষ্ঠার অভাব। এই ভাবদৈন্যের কারণ আমাদের শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আদর্শের বীজ আমাদের হৃদয়ে বপন হয় না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় কি মুক্তির বায়ু খেলিতে পায়? যাহারা ঐ আঙ্গিনায় জ্ঞানাহরণের জন্য বিচরণ করে তাহার কি মুক্তির আদর্শে অনুপ্রাণিত! আমাদের ভাবদৈন্যের জন্য শিক্ষিত সম্প্রদায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ত্ত‌ৃপক্ষ প্রধানতঃ দায়ী। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকাইলেই বুঝিতে পারা যায় যে আমাদের জাতীয় দুর্দ্দশা কতদূর পৌছাইয়াছে। অধ্যাপকগণ নিজ নিজ জীবনের আদর্শ ও শিক্ষার প্রভাবে মানুষ সৃষ্টি করিতে অক্ষম হন।......শিক্ষিত সম্প্রদায়ের আর্থিক অবস্থা কৃষকদের আর্থিক অবস্থার চেয়ে অনেক বিষয়ে খারাপ। চাকরির দ্বারা তাহাদের অভাব মিটিতে পারে না কারণ শিক্ষিত যুবকের সংখ্যা চাকরির চেয়ে অনেক বেশী। আমরা যদি চাকরির আশা পরিত্যাগ করিয়া ব্যবসা বাণিজ্যে মন না দিই তবে আমরা ত মরিবই এবং সঙ্গে সঙ্গে সন্তান সন্ততিদের মরিবার আয়োজন করিয়া যাইব। আমাদের অধ্যবসায়, চরিত্রবল ও কষ্ট সহিষ্ণুতার দ্বারা ব্যবসায় ক্ষেত্রে কৃতিত্বলাভ করিতে হইবে। “নান্য পন্থা বিদ্যতে অয়নায়।”