পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বিশ্বাস ঘাতকতার শাস্তি

১৯৪৫ সালের ১৩ই মার্চের ঘোষণা:—

 আজাদি ফৌজের কয়েকজন কাপুরুষতা প্রদর্শন ও বিশ্বাসঘাতকতা করায় নেতাজী এই উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত ঘোযণা করেন:—(১) কাপুরুষ সৈনিক ও অফিসারদিগকে বন্দী করা হইবে। (২) বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করা হইবে। যাহার কর্তব্যনিষ্ঠ হইয়া কাজ করিতে না চাহেন, ভবিষ্যতে বীরত্বের সহিত সংগ্রাম করিতে না চাহেন তাহারা এই বিজ্ঞপ্তির এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ ছাড়িয়া দিবেন। (৩) যাহাদিগকে সন্দেহ করা হইবে যে সঙ্কটময় মুহূর্ত্তে বিশ্বাসঘাতকতা করিবে তাহাদিগকে ফৌজ হইতে বহিষ্কৃত করা হইবে। সকলকেই অনুরোধ করা হইতেছে যে তাহারা এইরূপ বিশ্বাসঘাতকের সংবাদ আমাকে দেন। (৪) ভবিষ্যতে যদি কাহারও কাপুরুষতা বা বিশ্বাসঘাতকতার প্রবৃত্তি প্রকাশ পায় তবে তাহা আমাকে জানাইবেন। প্রত্যেকেই ফৌজের ও ভারতের সম্মান ও সুখ্যাতির জন্য দায়ী। (৫) প্রত্যেকে মনে রাখিবে সৈনিকের পক্ষে কাপুরুষতা ও বিশ্বাসঘাতকতা অপেক্ষা ঘৃণ্য ও জঘন্য অপরাধ আর নাই। (৬) সেনাবাহিনীর উপরোক্ত ছাঁটাই এর পর সকলকে নূতন করিয়া শপথ গ্রহণ করিতে হইবে। (৭) কাপুরুষ ও বিশ্বাকঘাতককে ধরাইয়া দিতে পারিলে পুরস্কার দেওয়া হইবে। (৮) কাপুরুষ ও বিশ্বাসঘাতকের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করিবার জন্য একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হইবে। তাহাতে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা হইবে:—(ক) বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক কবিতা ও প্রবন্ধ পঠিত হইবে। (খ) ঘৃণাসূচক নাটক অভিনীত হইবে। (গ) রিয়াদ, মদন, সরবারি, দে, মহম্মদ বকস প্রভৃতি