পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

২৫শে কলিকাতায় পূর্ণ হরতাল পালিত হয়। সুভাষচন্দ্রের ও দেশবন্ধুর প্রথমবার ছয় মাস কারাবাসের আদেশ হয়। এত কম দণ্ডে সুভাষচন্দ্র বলিয়াছিলেন, “আমি কি মুর্গী চোর যে এত কম দণ্ড হল।” কারাগারে দেশবন্ধুর সহিত সুভাষের খুব ঘনিষ্টতা জন্মে।

 উত্তরবঙ্গ প্লাবন—১৯২২ খৃষ্টাব্দে সুভাষচন্দ্র মুক্তিলাভ করেন। তখন উত্তরবঙ্গে প্রবল বন্যায় সহস্র সহস্র লোক গৃহহীন হইয়াছে। সুভাষচন্দ্র তৎক্ষণাৎ একটি সঙ্কট-ত্রাণ সমিতি গঠন করিয়া সেচ্ছাসেবক লইয়া উত্তরবঙ্গে কর্ম্মক্ষেত্রে ঝাপাইয়া পড়িলেন। তিনি শীঘ্রই চারিলক্ষ টাকা চাঁদা তুলিলেন এবং প্রচুর কাপড়, খাদ্যদ্রব্য যোগাড় করিলেন। তাঁহার কর্ম্মকুশলতায় তদানীন্তন গভর্ণর লর্ড লিটনও প্রীত হইয়াছিলেন।

 স্বরাজ্য দল—১৯২২ খৃষ্টাব্দে ডিসেম্বরে দেশবন্ধুর সভাপতিত্বে গয়ায় কংগ্রেসের অধিবেশন হয়। এই অধিবেশনে কংগ্রেসের ভিতর স্বরাজ্য দল নামে একটি দল গঠিত হয়। এই দলের সভ্যরা কাউন্সিল প্রবেশের পক্ষপাতী। দেশবন্ধু এই দলের সভাপতি ও সুভাষচন্দ্র সম্পাদক নিযুক্ত হন। সুভাষচন্দ্র অতি কৃতিত্বের সহিত “ফরওয়ার্ড” ও “বাঙ্গালার কথা” নামক দুইখানি কাগজের সম্পাদনা করেন। সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯২৩ খৃষ্টাব্দে সুভাষচন্দ্রের কঠোর পরিশ্রমের ফলে স্বরাজ্য দল নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এই বৎসর সুভাষচন্দ্র “তরুণ সঙ্ঘ” নামক একটি দল গঠন করেন।