পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

ইংলিশম্যান কাগজ সুভাষচন্দ্রকে বিপ্লবী ষড়যন্ত্রের মস্তিষ্ক বলিয়া অভিহিত করেন। ইহাতে সুভাষচন্দ্র তাহাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা আনেন। সুভাষচন্দ্রকে দুই মাস আলিপুর জেলে থাকিয়াই করপোরেশনের কাজকর্ম্ম চালাইতে দেওয়া হয়। তৎপরে তাহাকে বহরমপুর জেলে পাঠান হয়।

 মান্দালয়ে কারাবাস—বহরমপুর হইতে সত্যেন্দ্র মিত্র প্রভৃতি সাতজন সঙ্গীসহ সুভাষচন্দ্রকে ব্রহ্মদেশের মান্দালয়ে জেলে পাঠান হয়। এইখানে লোকমান্য তিলককে ছয় বৎসর ও পাঞ্জাব কেশরী লাজপৎ রায়কে এক বৎসর কারাবাসে কাটাইতে হয়। মান্দালয় জেলে রাজবন্দীদিগকে দুর্গাপূজার খরচ দিতে গভর্ণমেণ্ট অস্বীকার করায় ১৯২৬ সালের ২০ শে ফেব্র‌ুয়ারীতে সুভাষচন্দ্র ও অন্যান্য বন্দীরা অনশন ধম্মঘট করে। ইহাতে দেশব্যাপী তুমুল আন্দোলন হয়। গভর্ণমেণ্ট অবশেষে ধর্ম্মোৎসবের জন্য অর্থ মঞ্জ‌ুর করেন।

 জেলে অবস্থানের কালেই দেশের লোক সুভাষকে ও সত্যেন্দ্র মিত্রকে ১৯২৬ সালে নভেম্বরে বাংলার রাষ্ট্রীয় পরিষদে সদস্য নির্বাচন করেন। ইহাতে তাঁহাদের জনপ্রিয়তা প্রমাণিত হয়।

 মান্দালয় জেল অস্বাস্থ্যকর জয়গা; এখানে সুভাষচন্দ্রের স্বাস্থ্য ভাঙ্গিয়া গেল, শরীরের ওজন আধমণ কমিয়া যায় এবং ক্ষয়রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাঁহাকে ইনসিন জেলে পাঠান হয় এবং এখানে সুভাষচন্দ্রের ভ্রাতা ডাঃ সুনীল বসু ও সরকারী ডাক্তার তাঁহাকে পরীক্ষা করিয়া সুভাষচন্দ্রের অবস্থা