পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

কারাগারে ছিলেন। সেইজন্য দেশপ্রিয় বাংলার নেতা হন। তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সভাপতি ও করপোরেশনের পাঁচ বার মেয়র হন। সুভাষের মুক্তির পরে বাংলার নেতৃত্ব লইয়া সুভাষচন্দ্র ও দেশপ্রিয়ের মধ্যে বিবাদ আরম্ভ হয়। এই ব্যাপার লইয়া অনেক তিক্ততা প্রকাশ পায়। কংগ্রেস মিঃ এম,এস,এ্যনেকে বিবাদ মিটাইবার জন্য সালিশী নিযুক্ত করেন। কলিকাতায় মহারাষ্ট্র ভবনে সালিশী বসিত। ব্যারিষ্টার নিশীথসেন সেনগুপ্তের দিকে ও ব্যারিষ্টার শরৎ বসু সুভাষের দিকে মামলা পরিচালনা করেন। অনেক দিন পর বিবাদ মিটিয়া যায়। সুভাষচন্দ্র লাহোরে যুবক, শ্রমিক ও কৃষকদিগের সভায় অনেক বক্ত‌ৃতা করেন এবং সকলেই তাহাকে সমর্থন করেন।

 তিনবার কারাদণ্ড—ইহার পরে আইন অমান্য আন্দোলন আরম্ভ হয়। সুভাষচন্দ্র, সেনগুপ্ত, সত্যরঞ্জন বক্সী, কিরণ শঙ্কর প্রভৃতি নেতাদের কারাদণ্ড হয়। সুভাষের নয় মাস কারাদণ্ড হয়। তাঁহারা আলিপুর জেলে আবদ্ধ থাকেন। এখানে একটি ঘটনা ঘটে। ২৭ শে এপ্রিল সকালে মেছুয়াবাজার বোমার মামলার আসামীরা হাজতে দুর্ব্ববহারের প্রতিবাদে কয়েদীর গাড়ীতে উঠিতে অস্বীকার করে। জেলের কর্তৃপক্ষের আদেশে কতকগুলি পাঠান তাঁহাদিগকে জোর করিয়া গাড়ীতে উঠাইতে যায়। সুভাষচন্দ্র ও অন্যান্য রাজবন্দী ইহাতে আপত্তি করেন। তখন একজন পাঠান সুভাষচন্দ্রকে লাঠি দিয়া আঘাত করে। সুভাষচন্দ্র একঘণ্টা অজ্ঞান অবস্থায় থাকেন। ইহাতে দেশব্যাপী