পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

 সর্দ্দার ভাগত সিং পাঞ্জাব বোমা মামলার আসামী ছিলেন। কংগ্রেসের উগ্রপন্থীদল ভাগত সিংহের মুক্তির জন্য গান্ধীকে অনুরোধ করিলেন কিন্তু উহা পাঞ্জাব গভর্ণমেণ্টের ব্যাপার বলিয়া বড়লাট কিছুতেই রাজী হলেন না। ইহাতে তরুণ সম্প্রদায় গান্ধীর উপর খুব অসন্তুষ্ট হইলেন। করাচিতে কংগ্রেসের অধিবেশনের সময় তরুণ সম্প্রদায় ভারতীয় নবযুয়ান (Najuan) কনফারেন্স আহবান করেন। সুভাষ ইহার সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ কংগ্রেস অধিবেশনের পূর্ব্বেই ভাগত সিং ও শুকদেব সিংএর ফাসি হইয়া যায়। এই সংবাদে সমস্ত দেশ ক্ষেপিয়া উঠে। করাচিতে গান্ধীজীকে কাল নিশান দেখান হয় এবং ঢিল ছোড়া হয়। নবযুয়ান কনফারেন্স গান্ধীজীর আইন অমান্য আন্দোলন বন্ধ করার নীতিকে নিন্দা করা হয়।

 প্রতিবাদ—হিজলী বন্দীশালায় গুলি চালনার ফলে দুইজন রাজবন্দী নিহত হন। সুভাষচন্দ্র ইহার প্রতিবাদে করপোরেশনের অলড্যারম্যানের পদত্যাগ করেন।

 হাজতবাস—বিলাতে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকের পর মহাত্মা হতাশ হইয়া ফিরিয়া আসেন। ১৯৩১ সালে ২৯ শে ডিসেম্বর বোম্বাইতে কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতির অধিবেশন হয়। সুভাষ এই অধিবেশনে যোগদান করিতে আমন্ত্রিত হন যদিও তিনি সভ্যপদ ত্যাগ করেন। বোম্বাই হইতে প্রত্যাবর্তনের পথে তিনি কল্যান স্টেশনে গ্রেপ্তার হন। কয়েক মাস বিভিন্ন জেলে