পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

 ত্রিপুরী কংগ্রেসের সভাপতি নির্ব্বাচন ১৯৩৯ সালে কংগ্রেসের ৫২তম অধিবেশন ত্রিপুরীতে হয়। এই অধিবেশনে সভাপতি নির্ব্বাচন, কংগ্রেসের অধিবেশন ও পরের ঘটনাবলী সুভাষচন্দ্রের জীবনে বড়ই বেদনাদায়ক। সুভাষচন্দ্রের মত ত্যাগী দেশ-প্রেমিক নেতার প্রতি কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থী নেতাদের এ আচরণ শোভনীয় হয় নাই। নেতাদের মধ্যে মতভেদ সব দেশেই হইয়া থাকে কিন্তু ত্রিপুরী কংগ্রেসের সভাপতি নির্ব্বাচনের ব্যাপার লইয়া সুভাষচন্দ্র ও দক্ষিণপন্থী নেতাদের মধ্যে যে বিবাদ আরম্ভ হয় তাহা কংগ্রেসের ইতিহাসে অচিন্ত্যনীয়। সুভাষচন্দ্রের দোষ তিনি ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের সঙ্গে কোন আপোষ করিতে রাজি নন, কোন নরমপন্থা অবলম্বন করিতে রাজি নন। সুভাষচন্দ্র ছিলেন জবরদস্ত লোক। তাঁহার চরিত্র ছিল অনমনীয়। ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট দেশীয় রাজ্য ও ব্রিটিশ শাসিত অঞ্চল লইয়া একটি যুক্তরাষ্ট্র প্রবর্ত্তন করিতে চাহেন। সুভাষচন্দ্র ইহার ঘোর বিরোধী ছিলেন। গান্ধী প্রমুখ দক্ষিণপন্থী নেতাগণ ইহার স্বপক্ষে ছিলেন। সেইজন্য দক্ষিণপন্থী নেতাগণ সুভাষকে সভাপতি পদ হইতে তাড়াইতে চাহেন। প্রথমে বিভিন্ন প্রদেশ হইতে সুভাষচন্দ্র, মৌলানা আজাদ ও ডাঃ পটুভি সীতরামিয়ার নাম প্রস্তাব হয়। মৌলানা আজাদ অন্যান্য দক্ষিণপন্থী নেতাগণের পরামর্শে সীতারামিয়াকে সুপারিশ করিয়া নিজের নাম প্রত্যাহার করেন এবং এক বিবৃতি দেন। সুভাষচন্দ্র এক পাল‍্টা বিবৃতি দিয়া তাঁহার বক্তব্য বলেন। সভাপতি সুভাষ বসুরই নিয়োজিত ওয়ার্কিং