পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

প্রাপ্ত সংবাদ। এইরূপ আনুমানিক সংবাদের উপর নানারূপ জল্পনাকল্পনা ও গবেষণা চলিতে থাকে। হঠাৎ ১৯৪২ সালে ২৮শে মার্চ্চ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংবাদদাতা রয়টার সংবাদ দিলেন— “টোকিও রেডিওতে বলেছে যে সুভাষচন্দ্র স্বাধীন ভারত কংগ্রেসে যোগ দিবার জন্য টোকিও যাইবার পথে জাপানের উপকূলে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হইয়াছেন”। পরদিনই রয়টার জানান যে এই সংবাদ ভূল। সুভাষচন্দ্র বেঁচে আছেন। যাহা হউক এক্ষণে জানা গিয়াছে যে সুভাষচন্দ্র ভারত হইতে আফগানিস্থানের পথে বা অন্য কোন উপায়ে বার্লিন যান। সেখানে হিটলার তাঁহাকে India's Fuehrer and Excellence উপাধি দেন। সুভাষচন্দ্র অক্ষশক্তির সঙ্গে ভারতকে স্বাধীন করবার জন্য একটি চুক্তি করেন। তৎপর তিনি ডুবোজাহাজে জাপানে যান। আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করিয়া ব্রিটিশের সঙ্গে লড়াই করেন। তৎপর জাপান পরাজিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে আজাদ হিন্দ ফৌজও আত্মসমর্পণ করে। এইরূপ সংবাদ পাওয়া যায় যে সুভাষচন্দ্র সিঙ্গাপুর হইতে বিমানে টোকিও যাইবার পথে বিমান দুর্ঘটনায় সাংঘাতিকভাবে আহত হইয়া হাঁসপাতালে মারা যান। কিন্তু এই সম্বন্ধে পরস্পর বিপরীত সংবাদ আসিতেছে। তিনি মৃত কি জীবিত সঠিক কিছু জানা যায় নাই।

 চারিদিকে গোয়েন্দা ও পুলিশ পরিবেষ্টিত অবস্থায় কি উপায়ে সুভাষচন্দ্র সকলের চক্ষে ধূলি নিক্ষেপ করিয়া ব্রিটীশ