পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৬৯

কারী কমিটি গঠিত হয় তাহাতে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, স্যার তেজবাদুর সপ্রু, লাহোর হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কুনোয়ার স্যার দিলীপ সিংহ, শ্রীযুক্ত ভুলাভাই দেশাই, মিঃ আসফ আলী, রায় বাহাদুর বদ্রীদাস, পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মিঃ পি কে সেন এবং শ্রীযুক্ত রঘুনন্দন শরণ ছিলেন। স্যার তেজবাহাদুর সপ্রু, শ্রীযুক্ত ভুলাভাই দেশাই আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষ সমর্থন করেন। জওহরলাল ২২ বৎসর পরে ব্যারিষ্টারের পোষাক পরিলেন। ভারতীয় বাহিনীর সাতজন অফিসার লইয়া সামরিক আদালত গঠিত হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে চার জন ইউরোপীয় এবং তিন জন ভারতীয় ছিলেন যথা মেজর জেনারেল এ বি ব্ল্যাক্সল্যাণ্ড, ব্রিগেডিয়ার এ জি এইচ হার্ক, লেঃ কর্ণেল সি আর স্কট, লেঃ কর্ণেল টি আই স্টিভেনসন, লেঃ কর্ণেল নাসির আলীখাঁন, মেজর বি প্রীতম সিংহ এবং মেজর বনোয়ারীলাল। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করিলেন এডভোকেট জেনারেল স্যার এন, পি, ইঞ্জিনিয়ার ও মিলিটারি প্রসিকিউটর মেজর ওয়াল‍্স।

 বিচারকগণের শপথ গ্রহণ করিতে প্রায় অর্ধঘণ্টা সময় লাগে। তাঁহারা এ শপথও করেন যে কর্ত্তৃপক্ষ প্রকাশ না করা পর্যন্ত তাঁহারা এই সামরিক আদালতের রায় প্রকাশ করিবেন না এবং কোন সামরিক আদালতে সাক্ষ্যদানের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কারণেও তাহার এই সামরিক আদালতের কোন বিচারকের কেন মতামত বা ভোট প্রকাশ করিবেন না।