পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

 আসামী—ক্যাপ্টেন নওয়াজ, ক্যাপ্টেন পি, কে, সাইগল এবং লেঃ গুরুচরণ সিং ধীলন, আবদুল রসিদ (১।১৪’শ পাঞ্জাব রেজিমেণ্ট), সুবেদার শিঙ্গারা সিংহ (৫।১৪ শ’ পাঞ্জাব রেজিমেণ্ট), জমাদার ফতে খাঁ (৫।১৪’শ পাঞ্জাব রেজিমেণ্ট)। ইঁহাদের শেষোক্ত তিনজনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৭নং এবং ৩২৯নং ধারা অনুসারেও (সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য লোককে বাধ্য করিবার উদ্দেশ্যে গুরুতর আঘাত করা) অভিযুক্ত করা হইয়াছে। ইহাদের বিচার দ্বিতীয় আদালতে অন্যত্র হইতেছে। প্রথম আদালতে বিচারকগণ মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন, মঞ্চের পাদদেশে প্রথম তিন জন আসামী সারি দিয়া দাঁড়ান। আসামীদের পরিধানে ইউনিফরম ছিল। কিন্তু পদের বৈশিষ্ট্যজ্ঞাপক নিদর্শন খুলিয়া লওয়া হইয়াছিল। জিজ্ঞাসিত হইলে আসামীগণ বিচারক ও সরকারী রিপোর্টারের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি করেন না।

সরকারী অভিযোগ

 ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ ধারা অনুযায়ী প্রথম তিনজন আসামীকেই রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিবার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হইয়াছে। ইহা ছাড়া ১৯৪৫ সালের অনুমান ৬ই মার্চ তারিখে ব্রহ্মের পোপাপাহাড়ের নিকটে হরি সিংহ, দুলিচাঁদ, দারে দারিপ সিংহ এবং ধরম সিংহকে হত্যার অভিযোগও লেঃ ধীলনের বিরুদ্ধে উপস্থিত করা হইয়াছে। এই ব্যক্তিদের