পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এই বৈদেশিক সাহায্য—যা আমাদের দেশের জরুরী প্রয়োজন আছে সেই সাহায্য ব্যতিরেকে ভারতের স্বাধীনতা অসম্ভব। অপরপক্ষে এই সাহায্য—দেশ যার প্রয়োজন বোধ করছে তার প্রয়োজন প্রকৃতপক্ষে অতি সামান্য। কারণ অক্ষশক্তি বৃটিশকে যেভাবে পরাজিত করেছে তাতে বৃটিশের শক্তি এবং সম্মান এমনই শিথিল হয়ে গেছে যে, আমাদের কাজ আগের তুলনায় যথেষ্ট সহজ হয়ে এসেছে।

 এমনি করেই চললো বাণীর পর বাণী, ডাকের পর ডাক!

 এর পর—ঝড়!—

* * * *

এবার তবে ঝড়

 পূর্বেই বলা হয়েছে যে জাপানীদের কারসাজির কথা জানতে পেরে জাতীয় সেনা-বাহিনী ভেঙ্গে দেওয়া হয়। কিন্তু তবু রাসবিহারী বসু ব্যক্তিগতভাবে যথাসাধ্য চেষ্টা করছিলেন যাতে এই বাহিনীকে আবার গড়ে তোলা যায়। ঠিক এই সন্ধিক্ষণে সুভাষবাবুর আবির্ভাব নাটকীয় হলেও বহু আকাঙ্ক্ষিত। তাই প্রথম বক্তৃতার পর থেকেই সুভাষবাবু অভাবনীয় জনপ্রিয়তা লাভ করলেন। এবং তাঁর আহ্বানে মাত্র ছ’মাসের মধ্যেই বিরাট এক যোদ্ধা-বাহিনী গড়ে উঠলো—আজীবন যে স্বপ্ন তাঁর যৌবনোজ্বল দৃষ্টিকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ গ্রহণ করলো। রাসবিহারী বসু স্বেচ্ছায় অতি আনন্দের সঙ্গে আজাদ-হিন্দ ফৌজের নেতৃত্বভার সুভাষচন্দ্রের হাতে তুলে দিলেন। সর্বময় কর্তৃত্ব গ্রহণ করার পর সুভাষবাবু ২৫শে আগষ্ট যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তার পরিভাষা:—

৯২