পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ও সমর নায়ক। মিঃ এস, এ, নায়ার—প্রচার বিভাগ; ক্যাপ্টেন মিস্ লক্ষ্মী স্বামীনাথন্—নারী বিভাগ; লেফ্‌ট্‌ন্যাণ্ট কর্ণেল এ, সি, চ্যাটার্জী—রাজস্ব বিভাগ; লেঃ কঃ গুলজারা সিং, লেঃ কঃ এম, জেড্ কিয়ানি, লেঃ কঃ এ, পি, লােকনাথন্, লেঃ কঃ এশান কাদীর, লেঃ কঃ শাহ নওয়াজ—সমর বাহিনীর প্রতিনিধিবৃন্দ; মিঃ এ, এম, সহায়—সম্পাদক; শ্রীযুত রাসবিহারী বসু—প্রধান পরামর্শদাতা; করিম গনি, দেবনাথ দাস, ডি, এম, খান, এ, ইযেল্লাপ্পা, জে থিভী, এবং সর্দার ইশার সিং—পরামর্শদাতা; মিঃ এ, এল, সরকার—আইন বিভাগ। লেঃ কঃ আজীজ আহমেদ, লেঃ কঃ এন, এস, ভগৎ, কঃ জে, কে, ভোঁসলে।

 এত বড় বাহিনীকে পরিচালনা করা কম অর্থসাপেক্ষ নয়। সাধারণত মনে হয় যে এই বিশাল অর্থ নিশ্চয়ই জাপানীর কাছ থেকেই সুভাষবাবু গ্রহণ করেছিলেন। আসল তথ্য জানতে পারার আগে পর্যন্ত বৃটেন থেকে সেই রকম প্রচারই করা হয়েছিল। আমাদের দেশের তথাকথিত কমিউনিষ্টরা এবং অনেক ভণ্ড দেশপ্রেমিকও এই প্রচার কার্যে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু আসল তথ্য উদ্ঘাটনের পর সমস্ত বিশ্বের অধিবাসী স্তম্ভিত হয়ে শুনলে যে এই সমস্ত অর্থ স্থানীয় ভারতীয়েরা নিজেরাই চাঁদা করে সংগ্রহ করেছিল। একমাত্র ব্রহ্ম দেশেই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুভাষবাবু ৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন। জাপানীদের কাছে হাত পাতলে প্রচুর টাকা তিনি জোগাড় করতে পারতেন এবং তার ফলে অর্থাভাবের দরুণ তাঁদের যে অমানুষিক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে—এমন কি অর্থাভাবই পরাজয়ের মস্ত বড় একটা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে—সে সব এড়িয়ে যেতে পারতেন কিন্তু তবু আত্মসম্মান বিক্রি করে—নিজের দেশের মর্যাদার বিনিময়ে তিনি অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন নি। এর পরেও কি কেউ তাঁকে জাপানী দালাল বা জাপানীর হাতের পুতুল বলতে সাহস করবে? পরবর্তীকালে সেনাদের কাছে জানা গেছে যে সবশুদ্ধ তাদের ৩৫ কোটি টাকা

৯৯