যতটা সম্ভব ক্ষতি করা যেতে পারে এবং তারপর শত্রুকে একেবারে বিতাড়িত করে ফেলতে হবে।
অধিনায়কগণ অনর্থক হতাহতের সংখ্যা যাতে বেশী না হয় তার দিকে দৃষ্টি রেখে খুব সতর্কভাবে সৈন্য প্রয়োগ করবেন।
(২) যেখানে সম্ভব জীবন্ত বন্দী কিছু কিছু ফিরিয়ে আনতে হবে।
(৩) শত্রুর শিবিরে যত কিছু কাগজ নথিপত্র এবং দল নির্দেশক ব্যাজ পাওয়া যাবে সব নিয়ে আসতে হবে।
স্বীকৃত।
যদিও উপরের হুকুম নামার মধ্যে অনেক কিছুই আমাদের কাছে দুর্বোধ্য তবুও এর থেকে কিছু কিছু ধারণ। আমরা করতে পারি। আই, এন, এ, বিচারের সময় সময় এই ধরণের হুকুমনামা কিছু কিছু প্রদর্শিত হয়েছিল।
এই সব হুকুমনামা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে যুদ্ধের শেষ দিকে আজাদ-হিন্দ-ফৌজের মধ্যে কোন কোন সেনা বিশ্বাসভঙ্গ করে নিজের দলেরই শত্রুতা সাধন করেছিল। এরকম প্রত্যেক দলেই হয়ে থাকে, সেটা কিছু আশ্চর্য নয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে কিরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো তা জানতে গেলে নেতাজীর একখানি নির্দেশনামা অনুধাবন করলেই বুঝতে পারা যাবে। যথা:—
১১৭