পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বন্ধুগণ!

 কাপুরুষত্ব ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে আমাদের আন্তরিক ঘৃণা, বিতৃষ্ণা ও রোষ প্রকাশ করবার জন্যে, পূর্ব হতে নির্দিষ্ট এক দিনে প্রত্যেক আজাদ-হিন্দ-ফৌজ শিবিরে একটি করে বিশেষ অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠান সমস্ত কর্মাধ্যক্ষ ও সাধারণ সৈনিক অবশ্যই যোগদান করবে।

 এই অনুষ্ঠানের কার্যলিপি হিসাবে যাতে এই অনুষ্ঠান সর্বাঙ্গসুন্দর হয় তার জন্য প্রত্যেক শিবিরই নিজ নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী অনুষ্ঠানলিপি প্রস্তুত করতে পারবে। সাধারণভাবে একটা কার্যসূচির খসড়া নিম্নে সংযুক্ত করা হল।

 (ক) ভীরুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে ঘৃণা জানিয়ে কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা ও পাঠ।  (খ) এই মর্মে নাটক রচনা ও অভিনয়।

 (গ) কার্ডবোড, ঘাস বা মাটি বা যে কোন সুবিধাজনক পদার্থ দিয়ে এই সব বিশ্বাসঘাতকদের (রিয়াজ, মদন, সারবারী, দে, মহম্মদ বকশ এবং অন্যান্য) মানুষ বা জন্তুর অনুকরণে প্রতিকৃতি তৈরী করা হবে এবং শিবিরের প্রত্যেকেই এই বিশ্বাসঘাতকদের ওপর নিজ নিজ ঘৃণা ও বিতৃষ্ণার পূর্ণ প্রকাশ প্রদর্শন করবে।

 (ঘ) অতীত ভারতের বীরপুরুষদের গৌরবগাঁথা অবলম্বনে এবং বর্তমান স্বাধীনতা সংগ্রামে আজাদ-হিন্দ বাহিনীর সৈন্যদের বীরত্বব্যঞ্জক কার্যধারার প্রশংসা করে বক্তৃতার ব্যবস্থা করা হবে।

 (ঙ) সর্বশেষে জাতীয় সঙ্গীত গান ও সমবেত জয়ধ্বনি দিয়ে অনুষ্ঠান সাঙ্গ করা হবে।

 যে শিবির সেরা অনুষ্ঠান করবে তার জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে।

 ব্রহ্মদেশ
(স্বাঃ) সুভাষচন্দ্র বসু 
 ১৩, ৩, ১৯৪৫,
সর্বাধিনায়ক 
আজাদ-হিন্দ-ফৌজ 

১১৮