পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

থাইল্যাণ্ড অধিবাসী ও থাইল্যাণ্ড সরকার মুক্তিকামী ভারতবাসিদের উচ্চাশা সর্ববিষয়ে সমর্থন করে এবং ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে সর্বান্তঃকরণে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। হে মহামান্য আমি আপনার কাছে এই প্রতিশ্রুতি দিতে চাই যে স্বাধীন ভারত ও থাইল্যাণ্ডের মধ্যে কৃষ্টি ও রাজনীতিগত সম্বন্ধকে আরও সুদৃঢ় করবার জন্যে আমি বরাবরই চেষ্টিত থাকবো। হে মহামান্য আপনার মহৎ চেষ্টার জন্য এবং আজাদ-হিন্দ ফৌজের সাফল্যের জন্য থাইবাসিদের নামে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শঘ্রই ভারতের স্বাধীনতা সম্পাদিত হোক! এই সুযোগ গ্রহণ করে মহামান্য আপনাকে আমার সর্বোচ্চ সম্মান জানাই!


 পত্রালাপের মধ্য দিয়ে জাপান ও থাইল্যাণ্ডের সঙ্গে আজাদ-হিন্দ-সরকারের এবং বিশেষ করে মহামান্য় নেতাজীর সম্বন্ধ আর স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলবার বোধ হয় কিছু নেই। আর জার্মানীর কথা ত পূর্বেই উল্লেখ কবে বলা হয়েছে যে জার্মানীতে হিটলারের যে সম্মান ও পদ, স্বয়ং হিটলার নেতাজীকে ভারতবর্ষের পক্ষে সেই সম্মান প্রদান করেছিলেন— ফুয়েরার অব ইণ্ডিয়া সম্মানে ভূষিত করেছিলেন।

 কোলকাতায় অনুষ্ঠিত সুভাষসপ্তাহে মেজর জেনারেল শাহ নওয়াজ কয়েকটি সাম্প্রতিক বক্তৃতায় বলেছেন যে জাপানী সমরনায়কগণ নেতাজীর সামরিক বুদ্ধি ও কৌশলের ওপর এত বিশ্বাস করতেন যে তাঁরা অনেক সঙ্কট সময়ে কোন কৌশল অবলম্বন করবার আগে তাঁর সামনে তাঁদের পরিকল্পনার কথা উত্থাপন করে তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করতেন। এবং অনেক সময়ে দেখা গেছে নেতাজী তাঁর অসাধারণ তীক্ষ্ণ বুদ্ধিবলে তাঁদের সেই কৌশলের আমুল পরিবর্তন করে নূতন পথের সন্ধান দিয়ে দিয়েছেন। জাপানী সমরনায়কগণ অতি আনন্দের সঙ্গে এবং মুগ্ধ হৃদয়ে তাঁর সেই পরামর্শ গ্রহণ করেছেন।

১২৯