পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 আজাদ-হিন্দ-ফৌজের কয়েকজন বীর সৈনিকের নাম:—

 ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ খান, ক্যাপ্টেন জি, এস, ধীলন, ক্যাপ্টেন পি, কে, সায়গল, লেঃ কঃ এ, ডি, লোকনাথন, মেজর আজিজ আহম্মদ, ক্যাপ্টেন এসান কাদের, ক্যাপ্টেন এস, এম, হাসেন, ক্যাপ্টেন বুরহানুদ্দীন, লেঃ মাকরানা, ক্যাপ্টেন মহবুব আহম্মদ, ক্যাপ্টেন কাজী মহম্মদ গ্লীম, ক্যাপ্টেন এ, ডি, জাহাঙ্গীর, ফ্লাইট লেঃ এম, এম, লতিফ, ক্যাপ্টেন আর, এন, আরসাদ। ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী স্বামীনাথন, রেবা সেন, সিপ্রা সেন, মায়া গাঙ্গুলী ও রানু ভট্টাচার্য।

 হে ভারত, হে মুক্তিকামী ঘুমন্ত সিংহ এঁদের নাম মনের খাতায় স্মৃতির স্বর্ণজলে অক্ষয় করে রেখো।

 ৮ই আগষ্ট ১৯৪৭ সালে সিঙ্গাপুরে নেতাজী শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ প্রতিষ্ঠা করেন। তার ওপর লেখা ছিল—একতা—বিশ্বাস— বলিদান। সিঙ্গাপুর পুনর্দখলের পর ৭ই সেপ্টেম্বর বৃটিশ সৈন্য এই স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করে দেয়। নেতাজী প্রতিষ্ঠিত ‘আজাদ-হিন্দ’ পত্রিকাও আজ লুপ্ত হয়ে গেছে।

ঝড়ের পর

 একথা স্বীকার করতে হবে আজাদ-হিন্দ-ফৌজ চূড়ান্ত জয়লাভে সক্ষম হয় নি। শেষ পর্যন্ত অধিকতর শক্তিশালী মিত্রশক্তি তার সাম্রাজ্যবাদের উন্মত্ত প্রচেষ্টায় সিদ্ধিলাভ করেছে। কিন্তু ‘একতা—বিশ্বাস—ও—বলিদানের’ ব্রত নিয়ে ‘কদম কদম বাড়ায়ে যার’ মন্ত্র উচ্চারণ করে ‘জয় হিন্দের’ প্রচণ্ড নিনাদে যে জয়যাত্রা শুরু করেছিল ভারতের মুক্তি ফৌজ নেতাজীর অবিচলিত নেতৃত্বে আস্থা রেখে—সে জয় যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ রক্তের পঙ্কিল কদমে আজও অঙ্কিত হয়ে আছে মণিপুরের পরিত্যক্ত রণক্ষেত্রে—সে জয়যাত্রার দ্বিতীয় পদক্ষেপ কোলকাতার রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর নির্মম গুলী চালনায় নিঃসৃত রক্তস্রোতে— তারপর পর পর চট্টগ্রাম ও বোম্বাই সহরের তাণ্ডবলীলা!···

১৩৬