পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হিসাবে নিযুক্ত হলেন। এই পদে তিনিই প্রথম ভারতীয়। পরে বেরিলী থেকে সিঙ্গাপুরে জেনারেল ষ্টাফের লেফটনেণ্ট জেনারেল রূপে তিনি স্থানান্তরিত হলেন। সিঙ্গাপুরের পতনের পর তিনি আজাদ-হিন্দ-ফৌজের সর্বাধিনায়করূপে নিযুক্ত হন। জগন্নাথ রাও নিজেও যেমন অভিজাত বংশের তেমনি তিনি বিবাহও করেছেন বরোদার রাজবংশের আত্মীয়া চন্দ্রিকা বাঈকে। তাঁর তিনটি কন্যা বর্তমান।

 ডাঃ লক্ষ্মী স্বামীনাথন—ইনি মাদ্রাজের বিখ্যাত কংগ্রেস নেত্রী শ্রীমতী আম্মু স্বামীনাথনের কন্যা। এঁর বয়স বর্তমানে ৩২ বৎসর। ইনি মাদ্রাজ থেকে ১৯৩৭ সালে সিঙ্গাপুরে বেড়াতে এসে সেখানেই বসবাস করতে থাকেন। তাঁর প্রথম স্বামী বৈমানিক বি, কে, নানমুন্দা রাওর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাঁর ডাক্তারী কলেজের পূর্বতন বন্ধু সিরিয়ান খৃষ্টান এব্রাহামকে বিবাহ করেন। সিঙ্গাপুরে থাকাকালীন তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং আজাদ-হিন্দ-ফৌজ গঠনের পর তিনি মহিলা বিভাগ—রাণী ঝাঁসী বাহিনীর নেত্রীর পদে সম্মানিত হন। তাঁর অধীনে ১২০০ মহিলা রণক্ষেত্রে এবং হাসপাতালের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। জাপানীদের পতনের পর তিনি কালেওয়াতে আজাদী সৈন্যদের সেবা শুশ্রূষার ভার নিয়েছিলেন। তারপর তিনি বৃটিশের নিকট আত্মসমর্পণ করেন।

 বেলা দত্ত—এঁর জীবনী সম্বন্ধে বিশেষ কোন পরিচয় পাওয়া যায় নি। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে মাত্র ষোল বৎসর বয়সে তিনি যে বীরত্ব ও মানসিক বলের পরিচয় দিয়েছেন তা সত্যিই ভারতীয় নারীর পক্ষে গৌরবের বিষয়। দিনের পর দিন রাত্রিব পর রাত্রি অবিরাম বোমাবর্ষণের মধ্যেও তিনি অসমসাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে হাসপাতালেব কাজ চালিয়ে গেছেন। একবার ৮৫ জন রোগীর সেবার ভার সম্পূর্ণ একা তাঁকে বহন করতে হয়েছিল।

 শ্রীচন্দ্রপ্রকাশ—ইনি নেতাজীর জার্মানী থেকে জাপানে আসার পথে তাঁর সঙ্গে চালক হিসাবে ছিলেন। নেতাজী তাঁকে একটি হাতঘড়ি ও একটি স্থিতিস্থাপক

১৪৬