পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জন্যই ভারত সীমান্তে তাঁরা যুদ্ধ করবেন—লিবিয়াতে বা অন্যত্র নয়। তারপর ইটালীতে আবেজানো সৈন্যবাসে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হল। ওদিকে সৈইদী ও বাবা অজিত সিংএর চেষ্টায় মাত্র ১০০ জন সৈন্যকে কেন্দ্র করে গঠিত আর একটি আজাদী সৈন্য বাহিনী এসে মিলিত হল তাঁদের সঙ্গে।

 ১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যভাগে আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম দলটিকে রোমে পাঠানো হল সামরিক শিক্ষার জন্য। সেখানে তাঁদের কিছু কিছু সামরিক শিক্ষাও দেওয়া হয়েছিল এবং কয়েকজনকে প্যারাসুট বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে একদিন একজন ইটালীয় মেজর হুকুম দিলেন যে তাঁদের অনতিবিলম্বে লিবিয়াতে যুদ্ধ করবার জন্য তৈরী থাকতে হবে। আজাদী ফৌজের কার্যকরী সমিতির এক অধিবেশনে স্থির করা হল যে আজাদী সৈন্যরা একমাত্র আজাদী নেতাদের নির্দেশই মেনে চলবে। ফলে ইটালীর মন্ত্রিসভা এই আজাদী ফৌজ ভেঙ্গে দিয়ে তাঁদের সকলকে যুদ্ধবন্দী হিসাবে আটক করলেন।

 শ্রীউত্তমচাঁদ—১৯৪১ সালের ১৫ই জানুয়ারী সুভাষচন্দ্র মৌলবীর বেশে নিজ বাসস্থান ত্যাগ করে বরাবর পেশোয়ারে এসে হাজির হন। সেখান থেকে এক দরিদ্র পাঠানের বেশে তিনি কাবুলের ব্যবসায়ী শ্রীউত্তমচাঁদের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করেন। এইজন্যে ব্রিটিশ সরকারের অনুরোধে আফগান সরকার উত্তমচাঁদকে আফগানিস্থান থেকে বহিষ্কৃত করে দেন। আফগান পুলিশ তাঁকে শৃঙ্খলিত অবস্থায় জালালাবাদে নিয়ে এসে এক অন্ধকার কুঠুরীতে দুদিন আবদ্ধ করে রাখে। তারপর ১৯৪২ সালের ১লা জুন আফগান থেকেও তাকে বহিষ্কৃত করে দেওয়া হয়, ফলে ব্রিটিশ পুলিশ পেশোয়ারে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ১৯৪৩ সালে রাওলপিণ্ডিতে তাঁকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়। এই বন্দীদশায় তিনি নেতাজীর পলায়নকাহিনীর এক রোমাঞ্চকর ইতিহাস রচনা করেন। সেই ইতিহাস বর্তমানে প্রকাশিত হয়েছে। কারারুদ্ধ করে রাখা,

১৫০