পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 প্রথম ডাক উঠলো এক লক্ষ টাকা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সংখ্যা যখন সওয়া চারে উঠলো, প্রথম গ্রাহক চীৎকার করে উঠলেন—পাঁচ। যখন শেষ ডাক সাত লাখ ঘোষণা করা হচ্ছে তখন তাঁকে একটু চিন্তিত দেখা গেল, মনে হল, অন্তরে কিসের একটা ঝড় উঠেছে। মালাটি বিক্রী হল বলে— এমন সময় তিনি মঞ্চের ওপর লাফিয়ে উঠলেন— আমি আমার সব দিচ্ছি আমার যা কিছু—আমার পাই পয়সাটি পর্যন্ত— চীৎকার করে উঠলেন তিনি। সুভাষবাবু এই কম্পমান যুবকটিকে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বললেন—সাবাস্ —এ মালা তোমার!

মার্চ ২, ১৯৪৪

 হুররে! আমাদের ডাক পড়েছে! হুকুম পাওয়া গেছে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে রাণী ঝাঁসি বাহিনী থেকে দুটি দলকে পাঠাবার অনুমতি পাওয়া গেছে। আমাদের সাবধান করে দেওয়া হয়েছে যে সম্মুখক্ষেত্রের অবস্থা বিপজ্জনক!

 আমি যাচ্ছি ‘প’— (শ্রীমতী ম’র স্বামী)। যদি ফিরে না আসি তাহলে আমার জন্য দুঃখ করো না। তুমি আবার বিবাহ করলে আমি খুশি হবো— কেবল একটি অনুরোধ: প্রকৃত কর্মী বা রাণী ঝাঁসী বাহিনীর মধ্য থেকে কাউকে পছন্দ করে নিও। তোমার বর্তমান জীবনের পর প্রসাধনরতা, ঠোঁটে রং লাগানো পুতুল তোমাকে আর মানাবে না।

 বিদায়—বিদায়—বিদায় তোমাকেও সুদূর পাঞ্জাববাসী পুত্র আমার!

 [রণক্ষেত্রে তাঁর স্বামী প্রাণ বিসর্জ্জন দেন— মুক্তি যুদ্ধে একটি অঞ্জলিবদ্ধ আহুতির মত। তারপর শ্রীমতী ম তাঁর খাতায় এই ক’টি কথা লিখে রাখেন!]

১৫৪