পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সূত্রপাত হবে। আর ভারতেই যদি তার প্রথম সূত্রপাত হয় তাহলে আশ্চর্য হবার কিছু আছে কি?···জগৎ গান্ধীবাদের মত একটা নূতন পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে যদি এত উৎসাহিত হয়ে উঠতে পারে তাহলে সারা জগতের পক্ষে প্রযোজনীয় আর একটি পরীক্ষা ভারতে সুরু হবে তাতে আশ্চর্য হবার কি আছে?

 শুধু ব্যক্তিগত বাদানুবাদের উপর জোর না দিয়ে দুজনের বক্তব্য ও মতবাদের ওপর এখন জোর দেওয়া উচিত। অবশ্য জওহরলালজী যখন বলছেন যে কমিউনিজম মতবাদের উপর তিনি যথেষ্ট আস্থাবান (সম্পূর্ণ নয়) তখন সেদিকটা আলোচনা করবার বিশেষ কিছু নেই। কিন্তু সুভাষবাবুর মতবাদ সম্পূর্ণ অভিনব। তাই তাঁর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আমাদের সঠিক ধারণা থাকা দরকার। যথা:—

 (১) এই দল কিষাণ, মজুর প্রভৃতিদের স্বার্থ রক্ষা করবে অর্থাৎ জমিদার, বণিক এবং মহাজন শ্রেণীর কায়েমী স্বার্থের জন্যে নয়।

 (২) এই দল ভারতের জনসাধারণের সম্পূর্ণ অর্থ নৈতিক ও রাজ নৈতিক স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করবে।

 (৩) ভারতের শেষ লক্ষ্য ফেডারেল গভর্ণমেণ্ট হিসাবে এই দল সংগ্রাম চালাবে তবে ভারতকে নিজের শক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যে কয়েক বছরের মেয়াদে একজন ডিক্টেটরের অধীনে এক শক্তিশালী কেন্দ্রীয় গভর্ণমেণ্ট গঠনের ওপর বিশ্বাস রাখবে।

 (৪) দেশের শিল্প ও কৃষি জীবনের পূর্ণ সংস্কার সাধনের নিমিত্ত সুচিন্তিত পরিকল্পনার ওপর জোর দেবে।

 (৫) বিগত যুগের পঞ্চায়েত পরিচালিত গ্রাম্য সমাজ ব্যবস্থার ভিত্তিতে নতুন ধরণের সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তনের চেষ্টা ও জাতিভেদ ও অন্যান্য সামাজিক বিধি নিষেধের উচ্ছেদ সাধনের চেষ্টায় রত থাকবে।

৪০