পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অভী অভী হুংকার নাদিত প্রচণ্ড সংগ্রাম নৃত্যম বন্দে ভারত ভানু সুভাষম

জীবনের ধারা

 সূর্য ওঠে। শত ঝড়, শত ঝঙ্কা, শত অভিশপ্ত রাত্রির শেষে সূর্য ওঠে পূর্ব দিগন্তে। সূর্য ওঠে চিরলাঞ্ছিত, দুর্ভিক্ষপীড়িত এই বাঙ্গলার মাটিতে ভারতের পূর্ব সীমান্তে।

 রত্নগর্ভা এই দেশ। যুগে যুগে কত মানুষ-সূর্যের অভ্যুদয় হয়েছে এই দেশে, যারা সকল সন্ধিক্ষণে এসে দাড়িয়ে সমস্ত ভারতকে ডাক দিয়েছেন বৃহত্তর জীবনের দিকে, বৃহত্তর মানবতার পানে। শত দুর্ভিক্ষ শত মহামারীতেও যার ক্ষয় নেই, শেষ নেই। এ সেই বাঙ্গলার আকাশেই এক নতুন সূর্যের অভ্যুদয়—শতাব্দীর সূর্য, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু।

 এবারের সূর্যের কিন্তু দক্ষিণায়নের পালা। তাই সে উঠলো একটু দক্ষিণ ঘেঁষে—কটকে। তারিখটা প্রত্যেক বাঙ্গালীরই মনে ১৮৯৭ সাল—বেলা দেড়টার সময় এক নতুন শিশু চোখ মেললো আলোর জগতে। সেই শিশুই যে একদিন ভারতের আঁধার আকাশে আলো দেখিয়ে নিয়ে যাবে উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের পানে, কে জানতো? কে জানতে এই কোমল শিশুর মধ্য দিয়ে একদা জন্ম নেবে বিপ্লবের সুর?

 সুভাষচন্দ্রের বাবা রায় বাহাদুর জানকীনাথ বস্তু উড়িষ্যার রাজধানী কটকে ওকালতি করতেন। তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও অসামান্য প্রতিভা বলে তিনি ওখানকার শ্রেষ্ঠ আইন ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছিলেন। তাছাড়া তিনি অনেক দিন পাব্লিক প্রসিকিউটর ও জিলা মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান রূপে অধিষ্ঠিত ছিলেন।