পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কিছু নেই। তবে এর কারন সাম্রাজ্যলিপ্সা নয়,—এই একটি জাতি সাম্রাজ্যবাদী বৃটেন ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যে মাথা তুলে দাঁড়াবার কল্পনা করে — বৃটেনের স্বভাবশত্রু সুভাষচন্দ্র তাতে উৎসাহিত বোধ না করে পারেন কি? তিনি কল্পনা করতেন তাঁর নিজের দেশের তরুণের দল এমনি ভাবে সামরিক শিক্ষা পাবে, শক্তি সঞ্চয় করবে, এগিয়ে যাবে। যেখানে বীর্য আর শৌর্যের প্রশ্ন সেখানেই বীর নেতা সুভাষচন্দ্রের মন আকৃষ্ট, অভিভূত।

 রোমে থাকতে আফগানিস্থানের দেশপ্রেমিক রাজা আমানুল্লার সাথে সুভাষবাবুর পরিচয় হয়। আমানুল্লা ভারতের কংগ্রেস-আন্দোলন ব্যাপারে অত্যন্ত সহৃদয়তা ও উৎসাহের সঙ্গে সুভাষবাবুর সঙ্গে আলাপ করেন। সুভাষবাবু আমানুল্লার সঙ্গে মিশে যথেষ্ট আনন্দ পেয়েছিলেন।


 এদিকে ১৯৩৬ সালের কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশনের দিন এগিয়ে আসছে। নির্বাচিত-সভাপতি জওহরলাল নেহরু সুভাষবাবুকে এই অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানালেন। সুভাষবাবুরও খুব ইচ্ছা ছিল ভারতে ফিরবার। কিন্তু ভারত সরকার জানিয়ে পাঠালেন যে সুভাষবাবু ভারতে পদার্পণ করলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।

 সুভাষবাবুর সম্মুখে দুটি প্রশ্ন, এক, দেশের ডাকে সাড়া না দিয়ে শাসকের অন্যায় হুমকী মাথা নীচু করে মেনে নেওয়া আর দুই, দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে কারাবরণ করা।

 এই দ্বিতীয় পথে পা বাড়াতে তিনি একটুও দ্বিধা করলেন না। এবং যাবাব আগে এই বিষয়ে ম্যাঞ্চেষ্টার গার্ডেন পত্রিকায় এক জোরালো প্রবন্ধ লিখলেন।

 এগারোই এপ্রিল ১৯৩৬। হাজারে হাজারে নরনারী এসে সমবেত হয়েছে সমুদ্র সৈকতে তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে সম্বর্ধনা জানাতে। কিন্তু মাটিতে

৪৫